প্রধানমন্ত্রীর নয়, উন্মাদের সংবাদ সম্মেলন: গয়েশ্বর

SHARE

চীন থেকে ফেরার পর প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনকে উন্মাদের সংবাদ সম্মেলন বলে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে যে ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তাতে শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনকে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বললে জাতির সম্মান নষ্ট হবে, জাতি লজ্জিত হবে।”image_86559_0

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস পালন উপলক্ষে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় গয়েশ্বর এসব কথা বলেন।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের রহমাতুল্লার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষায়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান রিপন, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।

‘খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রিমান্ডে নিলে জিয়ার খুনিদের নাম বেরিয়ে আসবে’ শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের জবাবে গয়েশ্বর বলেন, “খালেদা ও তারেককে নয়, শেখ হাসিনাকে রিমান্ডে নিলে জিয়াউর রহমানের খুনির নাম বেরিয়ে আসবে। শেখ হাসিনা আপনি বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় থেকে কেন জিয়া হত্যার বিচার করেনি। আপনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। সামনে যখন জিয়াউর রহমান হত্যার বিচারের জন্য তদন্ত করা হবে তখন আপনি (শেখ হাসিনা) সহযোগিতা করবেন। আশা করব রাজপথে হরতাল আগুন জ্বালাবেন না।”

তিনি বলেন, “সংবাদপত্র শুধু সাংবাদিকদের জন্য নয়। সংবাদপত্র ছাড়া গণতন্ত্রের বিকাশ হয় না। আওয়ামী লীগ অনেক টেলিভিশন, পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছে। লাইসেন্স বাতিল করেছে। আওয়ামী লীগ আমাদের পথ দেখিয়েছেন। আপনারা এমন কোনো কাজ করবেন না যাতে আমাদেরও সংবাদপত্র বন্ধ করতে হয়।”

বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, “জিয়া পরিবার খালেদা জিয়া-তারেক ও কোকো এই তিনজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ৫৬ হাজার বর্গমাইলে সবই জিয়া পরিবার বিস্তৃত। তারেক রহমানের একটি বই লিখেছেন যা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করবে। আর এতে যদি না হয় তাহলে তাদের রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটবে।”

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর বলেন, “আপনারা নিউজ করে সুনাম অর্জন করেন। তেমনি আমাদের নিয়ে একটা নিউজ হলেও রাজনৈতিক ক্যারিয়ার উজ্জ্বল হয়। আপনাদের সীমাবদ্ধতা আছে। তাই বলে কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা নিউজ করবেন না। এ পথ পরিহার করুন। কারো রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার দায়িত্ব নেবেন না।”