
মাঝমাঠ থেকে বল টেনে নিয়ে গিয়ে, পরিবর্ত হিসেবে নামা গনজালো হিগুয়েইনের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে দু’ জন বসনিয়ান প্লেয়ারকে মাটি ধরিয়ে গোলে শট নিলেন মেসি৷ বল পোস্টে লেগে জালে জড়িয়ে গেল ৷ মেসি যেন ফেটে পড়লেন আনন্দে, উত্তেজনায়, আবেগে ৷ গোল করার পর এহেন মেসিকে সচরাচর দেখা যায় না ৷ গোল করার পর তিনি অল্প আনন্দ করেন ৷ এদিন বিস্ফারিত হলেন ৷ বোঝাই যাচ্ছিল ভেতরে ভেতরে উত্তর দেয়ার জন্য তৈরি রয়েছেন ৷ সুযোগ খুঁজছিলেন ৷ বুটের থেকে বড় মাইক্রোফোন যে আর নেই, তা আরো একবার বুঝিয়ে দিলেন লিওনেল মেসি ৷ আট বছর আগে গোল করেছিলেন বিশ্বকাপে ৷বিশ্বকাপের দ্বিতীয় গোলটা পেতে আট-আটটা বছর অপেক্ষা করতে হলো বিশ্বের সেরা প্লেয়ারকে ৷
খেলার তিন মিনিটেই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা ৷ মেসির ফ্রি কিক থেকে আত্মঘাতী গোল করে বসেন কোলাসিনাচ ৷ তারপর শুধুই বসনিয়ান ঝড় ৷ তাতে বেসামাল আলবিসেলেস্তেরা ৷ মেসিকে তখন খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না ৷ কড়া মার্কিংয়ে তাকে রাখা হচ্ছিল ৷ বল পেলেই তার পা থেকে বল কেড়ে নিচ্ছিলেন বসনিয়ান প্লেয়াররা ৷
দ্বিতীয়ার্ধে আলেসান্দ্রো সাবেয়া চলে যান ৪-৩-৩ পদ্ধিততে ৷ হিগুয়েইনকে পাঠিয়ে দেন ফরোয়ার্ডে ৷ এতক্ষণ আগুয়েরো একা পড়ে যাচ্ছিলেন উপরে৷ মেসি আটকে যাচ্ছিলেন ৷ হিগুয়েইন নামার পর আর্জেন্তিনার চাপ বাড়ে ৷ মেসিও ধীরে ধীরে নিজের মেজাজে ধরা দেন ৷ বেশ কয়েকবার গোলের গন্ধ মাখা বল বাড়ান তিনি ৷ তারপর ৬৫ মিনিটে সেই মুহূর্ত ৷ মেসির গোল ৷ যার জন্য অধীর আগ্রহে সবাই বসেছিল ৷
বসনিয়া এবারই প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছে ৷ ভালোই খেলেছে তারা ৷ আর্জেন্তিনাকে যথেষ্ট বেগ দিয়েছেন এডিন জেকোরা ৷ ৮৪ মিনিটে ইবিসেভিচ ব্যবধান কমান বসনিয়ার হয়ে ৷ প্রথমার্ধে রোমেরো আর্জেন্তিনাকে বাঁচান বেশ কয়েকবার ৷ এদিন ইতিহাস তৈরি করে ফেলল বসিনয়া ৷ ইতিহাস তৈরির দিনেও বসনিয়া পেছনের সারিতে চলে যাবে ৷ সবাই মত্ত থাকবে একজনকে নিয়ে ৷ তিনি সবার প্রাণের লিও মেসি ৷ ওরকম গোলই তো সবাই তার কাছ থেকে দেখতে চায় ৷ তিনি গোল করবেন আর গ্যালারিতে সুর উঠবে ভামোস ভামোস আরহেনতিনা ৷ সূত্র: ওয়েবসাইট