বিপর্যস্ত পাকিস্তানের নিরাপত্তা

SHARE

একের পর এক তালেবান হামলায় বিপর্যস্ত পাকিস্তানের নিরাপত্তা। করণীয় ঠিক করতেই উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। সে বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা না গেলেও জঙ্গি দমনে আরো কঠোর অবস্থানে নেয়া হয়েছে সেনাবাহিনীকে।image_86013_0

তালেবান জঙ্গি দমনে ইতিমধ্যে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশ সদস্যদের পাশপাশি এ বাহিনীতে রয়েছে আধা সামরিক বাহিনী এবং সেনা সদস্যরাও। পুরো এলাকাটি ঘিরে রেখেছে তারা।

সহকারী পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট ফাহাদ ইকবাল বলেন, ‘সশ্বস্ত্র বিদ্রোহীরা লুকিয়ে আছে, এমন গোপন খবরের ভিত্তিতেই বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকা পাহলোয়ান ঘোটা ঘিরে রেখে তল্লাশি চালাচ্ছে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা।’

এমন পরিস্থিতিতেই করাচি বিমানবন্দরে দুদফা সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পরবর্তী করণীয় নিয়ে ইসলামাবাদে নিজ বাসভবনে নিরাপত্তাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করেন পাক প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে সেনাপ্রধান জেনারেল রেহেল শরিফ, সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল ইসফাক নাদিম আহমেদ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী থাকলেও, অনুপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এবং আইএসআই প্রধান জহির উল ইসলাম।

ওদিকে বিমানবন্দরের পাশে এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স এএসএফের প্রশিক্ষণকেন্দ্রে মঙ্গলবারের ঘটনাকে হামলা বলতে নারাজ বাহিনীটির প্রধান।

এএসএফের পরিচালক আজম খান বলেন, ‘প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হামলার যে খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা ঠিক নয়। এখানে কোনো আক্রমণের ঘটনা ঘটেনি– কিছু গোলাগুলি হয়েছে মাত্র। খবর পেয়েই নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে গেছে এবং সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের তাড়িয়ে দিয়েছে।’

অন্যদিকে মালাকান্দ এলাকায় স্থানীয় শান্তি কামিটি সদস্য আতাউল্লাহ খান মেহসুদের বাসভবন তালেবান বিদ্রোহীদের হামলায় দুই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম ডন। তবে এ হামলায় আতাউল্লাহ খান অক্ষত রয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা।