রিওর সঙ্গে স্যান্তিয়াগোর ছবির অনেক মিল। রিওতে জার্মানির কাছে হেরে বিশ্বকাপে রানার্স হয়েছিল আর্জেন্টিনা। এবার কোপাতেও ফাইনালে হেরে স্বপূরণে ব্যর্থ এলএম টেন। আরও একটা মেগা ফাইনালে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারলেন না বর্তমান প্রজন্মের সেরা তারকা। শনিবারের ফাইনালের পর সেই বিতর্ক আবার উঠে এল। মেসি দুরন্ত, তবে তিনি ম্যারাডোনো নন।
গতবারের বিশ্বকাপ ব্যর্থ, এবারের কোপাতেও দেশকে ট্রফি এনে দিতে ব্যর্থ হলেন মেসি। এবার কোপার ফাইনালে নিজের মেজাজে পাওয়া গেল না বাঁ পায়ের জাদুকরকে। উল্টো বিপক্ষের রক্ষণের চক্রবুহে বারবার আটকে গিয়েছেন। চিলির বিরুদ্ধে ম্যাচে গোলে লক্ষ্য করে একটা শটও মারতে পারেননি মেসি। যা ফুটবলপ্রেমীদের কাছে অবিশ্বাস্য। সেমিফাইনালে যে মেসি প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে ফুল ফুটিয়েছিলেন, ফাইনালে তাকে এতটা নিস্প্রভ দেখে অবাক ফুটবলমহল। ক্লাব ফুটবলের সাফল্যের জেরে পেলে, ম্যারাডোনার পাশে ইতিমধ্যেই স্থান করে নিয়েছেন মেসি। বার্সেলোনাতে তার পারফরম্যান্সের জন্য চারবার ফিফার বর্ষসেরা হয়েছেন লিও। তবে দেশের সাফল্যের নিরিখে মেসির ক্যাবিনেট একেবারেই ফাঁকা। ৮৬’ বিশ্বকাপে কার্যত একার হাতে দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন ম্যারাডোনা। সেই তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে মেসি।
ম্যারাডোনা
• ক্লাবের হয়ে: ৫৮৮ ম্যাচে ৩১২ গোল।
• দেশের হয়ে: ৯১ ম্যাচে ৩৪ গোল।
ট্রফি
বিশ্বকাপ (১৯৮৬),
বিশ্বকাপে সোনার বল (১৯৮৬),
বিশ্বকাপে রানার আপ (১৯৯০),
লাতিন আমেরিকার সেরা ফুটবলার ২ বার (১৯৭৯, ৮০),
ফিফার শতাব্দীর সেরা ফুটবলার (২০০০),
ফিফার বিচারে শতাব্দীর সেরা গোলদাতা (১৯৮৬, বনাম ইংল্যান্ড)।
• ক্লাব জার্সিতে
কোপা দেল রে (বার্সেলোনা),
লা লিগা (বার্সেলোনা),
সুপার কাপ,
সিরি আ (নাপোলির হয়ে দু’বার),
উয়েফা কাপ (নাপোলি)।
মেসি
• ক্লাবের হয়ে ৪৮২ ম্যাচে ৪১২ গোল।
• দেশের হয়ে ১০৩ ম্যাচে ৪৬ গোল।
ট্রফি
অলিম্পিক সোনা (২০০৮),
বিশ্বকাপ রানার আপ (২০১৪),
কোপা আমেরিকা রানার আপ (২০০৭, ২০১৫),
বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলার (২০১৪)।
• ক্লাবের জার্সিতে
লা লিগা ৭ বার, কোপা দেল রে ৩ বার,
স্প্যানিশ সুপার কাপ ৬ বার,
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ৪ বার, উয়েফা সুপার কাপ ২ বার,
ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ ২ বার,
উয়েফার বিচারে ইউরোপের সেরা (২০১১),
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা ৪ বার।
ফিফার বর্ষসেরা ৪ বার (২০০৯, ১০, ১১, ১২)।