নান্দাইলের চাঞ্চল্যকর চারজনকে খুনের ঘটনায় জড়িত জামাল হোসেন নামে এক সন্দেহভাজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নান্দাইল বাশাটি গ্রামের একটি পুকুর থেকে শনিবার ভোরে জামালের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন খুনি লাল মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, জামাল হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার মৃত্যও রহস্যজনক। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। আর এ ঘটনায় খোকন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নান্দাইলে পারিবারিক কলহের জের ধরে শুক্রবার রাতে ছোট ভাই ও তার তিন ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করে বড় ভাই ও তার ছেলেরা।
নিহতরা হলেন- বিল্লাল হোসেন ও তার ছেলে ফরিদ, পাভেল ও হিমেল। পাভেল ও হিমেল স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার সকালে টাকা ধার নিয়ে নান্দাইল উপজেলার বাশাটি গ্রামের লাল মিয়া ও তার ছোট ভাই বিল্লাল হোসেনের পরিবারের মধ্যে ঝগড়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বিল্লাল হোসেনের পরিবারের ঘুমন্ত সদস্যদের কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তার বড় ভাই লাল মিয়া ও তার ছেলে জামাল ও কামাল। এতে ঘরের ভেতরেই মারা যান বিল্লাল হোসেন ও তার এক ছেলে হিমেল। অপর দুই ছেলে ফরিদ ও পাভেল আহত অবস্থায় পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করলে তাদেরও ধাওয়া করে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। স্থানীয়রা দেখে ফেলায় পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা।
গুরুতর আহত বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী বানেছা খাতুনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নান্দাইল উপজলোর ৪নং চন্ডীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক ভুইয়া জানান, সামান্য টাকা ধার করা নিয়ে কথাকাটাকাটির জের ধরে ঝগড়া ও দিনের বেলায় সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে তা চিন্তার বাইরে।