বিমান দুর্ঘটনার পরেও বেঁচে গেলেন মা ও ছেলে

SHARE

biman kolombiyaএ যেন মৃত্যুর চোখে চোখ রেখে ফিরে আসা!

কলম্বিয়ার জঙ্গলের গভীরে দুই ইঞ্জিনের বিমানটি ধ্বংস হয়ে পড়ে ছিল বেশ কয়েক দিন। কিন্তু খোঁজ মিলছিল না সেই বিমানের যাত্রী এক মা ও শিশুর। উদ্ধারকারীরা জঙ্গল তন্ন তন্ন করে খুঁজছিলেন। অবশেষে প্রায় সুস্থ শরীরেই খোঁজ মিলল তাদের।

সূত্রের খবর, মারিয়া নেল্লি মুরিল্লো নামে ১৮ বছরের ওই তরুণী এবং তার এক বছরের ছেলেকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে জঙ্গলের গভীরে একটি নদীর ধারে। বিমান দুর্ঘটনায় মারিয়ার শরীরে কিছু আঘাত লাগলেও তার শিশুসন্তান সম্পূর্ণ নিরাপদেই আছে।

দিন কয়েক আগে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূল লাগোয়া নুকুই শহর থেকে বিমানটি রওনা হয় চকো-র রাজধানী কুইবদোর দিকে। বিমানটি বোঝাই ছিল মাছ ও নারকেলে। রওনা দেওয়ার মিনিট কুড়ি পরেই বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ায় বিমানটির খোঁজে বের হয় উদ্ধারকারী দল। দিন দুই ধরে তল্লাশির পরে কলম্বিয়ার গভীর জঙ্গলে বিমানটির খোঁজ পাওয়া যায়। বিমানের ককপিটে চালক কোর্লো মারিওর মৃতদেহও খুঁজে পান তারা।

তার পর থেকেই শুরু হয়েছিল বিমানযাত্রী মা ও শিশুর খোঁজ। কলম্বিয়ার জঙ্গল ঢুঁড়ে তাদের খুঁজে পাওয়াটা যদিও খুব একটা সহজ ছিল না। তা ছাড়া, তারা আদৌ বেঁচে আছেন কি না, সেটা নিয়েও সন্দেহ ছিল। যদিও বিমানটির দরজা খোলা থাকায় দেখে তাদের বেঁচে থাকা নিয়ে আশা জেগেছিল।

মারিয়াকে খুঁজতে গিয়ে উদ্ধারকারীরা দেখেন যে, বিমানটির কাছে ছড়ানো রয়েছে নারকেলের খোলা। খুঁজতে খুঁজতে এক জায়গায় শিশুটির জন্মের শংসাপত্রও দেখতে পায় উদ্ধারকারী দল। তাদের খুঁজতে লাউডস্পিকারও ব্যবহার করে উদ্ধারকারী দল। অবশেষে দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় পাঁচশো মিটার দূরে নদীর ধার থেকে উদ্ধারকারী দল খুঁজে পায় মারিয়া আর তার শিশুপুত্রকে।

সাধে আর কলাম্বিয়া বিমান বাহিনীর প্রধান একে ‘মিরাকল’ বলেছেন!