যুক্তরাষ্ট্রের একটি জরিপের ফলাফল বলছে, শুধু ডেমোক্রেট দলের মনোনয়নই নয়, ভোটে জিতে পরবর্তী প্রেসিডেন্টও হতে চলেছেন হিলারি ক্লিনটন।
ফার্স্ট লেডি হিসেবে ১০ বছর হোয়াইট হাউসে কাটানো হিলারি যদি ২০১৬ সালের নির্বাচনে জিততে পারেন, তাহলে তিনি হবেন বিশ্বের প্রতাপশালী দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।
তবে জনগণের ভোটের আগে হিলারিকে দলের অভ্যন্তরীণ ভোটে জয়ী হয়ে প্রার্থিতা নিশ্চিত করতে হবে, যে লড়াইয়ে তাকে একবার হার মানতে হয়েছিল বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছে।
ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী হতে নিজের নাম ঘোষণা করে এই মাসের শুরুতে প্রচারাভিযান শুরুর পর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও এনবিসি একটি জনমত জরিপ চালিয়ে দেখেছে, জনগণ ৬৭ বছর বয়সী হিলারির পক্ষে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে ওই জরিপের ফল প্রকাশের পর তার ভিত্তিতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে।
জরিপে দেখা যায়, ডেমোক্রেটিক পার্টির নির্বাচকদের তিন-চতুর্থাংশই সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারিকে দলের প্রার্থী হিসেবে চাইছেন। ১৫ ভাগের সমর্থন বার্নি স্যান্ডার্সের প্রতি।
যদি হিলারি ডেমোক্রেটিক দলের সমর্থন নিয়ে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হন, তাহলে কি হবে- তাও উঠে এসেছে এই জরিপে।
যদি রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন ফ্লোরিডার সাবেক গভর্নর জেব বুশ, তাহলে ৪৮ শতাংশের রায় হিলারির পক্ষে যাবে বলে এই জরিপের ফল বলছে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচ ডাব্লিউ বুশের ছেলে জেবের ভাই জি ডাব্লিউ বুশও ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। ভাই বুশ ১০ বছর যুক্তরাষ্ট্র শাসন করলেও বাবা বুশকে দ্বিতীয় মেয়াদে হারতে হয়েছিল হিলারির স্বামী বিল ক্লিনটনের কাছে।
জরিপে দেখা যায়, যদি রিপাবলিকান দল থেকে সিনেটর মার্কো রুবিও প্রতিদ্বন্দ্বী হন, তবে হিলারির পক্ষে সমর্থন বেড়ে ৫০ শতাংশে গিয়ে ঠেকছে। আর উইসকনসিনের গভর্নর স্কট ওয়াকার প্রার্থী হলে হিলারির পক্ষ নেবেন ৫১ শতাংশ ভোটার।
জরিপের ফলাফল আরও বলছে, দুই মেয়াদে ডেমোক্রেট ওবামার শাসনের পর আগামীবার কোন দলকে বেছে নেবেন, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা দ্বিধায় থাকলেও হিলারির নেতৃত্বগুণের প্রতি ভরসা করছেন অধিকাংশ।