তুরিন আফরোজকে হুমকি, জিডির প্রস্তুতি

SHARE

turinহাতে লেখা বেনামি এক চিঠিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে হুমকি ও অকথ্য ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়েছে।

অশ্লীল মন্তব্য ও ব্যক্তিগত আক্রমণ করে লেখা বেনামি এ চিঠি পাওয়ার পর অনিরাপদ বোধ করছেন তুরিন আফরোজ। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে বনানী থানায় সাধারণ ডায়েরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত মঙ্গলবার তুরিন আফরোজের নামে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে।

বুধবার দুপুরে ট্রাইব্যুনাল থেকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে তিনি এ চিঠি পান। তুরিন আফরোজ প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে শিক্ষকতা করছেন।

ব্রিটিশ নাগরিক ডেভিড বার্গম্যানের সাজায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অবমাননাকর বিবৃতি দেওয়ায় ট্রাইব্যুনাল-২ এর দণ্ডপ্রাপ্ত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া ২২ নাগরিকের কেউ এ চিঠি পাঠিয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছেন তুরিন আফরোজ। তিনি বলেন, চিঠির বিষয়বস্তুতেও এটি উল্লেখ থাকায় তার এ ধারণা হচ্ছে।

বুধবার এ চিঠি পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকালেই প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে চিঠির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালকেও অবহিত করেছেন বলে জানিয়েছেন তুরিন আফরোজ। এছাড়া এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টিলিজেন্স), ডিজিএফআইসহ (ডিরেক্টরেট অব জেনারেল ইন্টিলিজেন্স) আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে চিঠির বিষয়টি জানানো হয়েছে।

প্রসিকিউশন সূত্র জানিয়েছে, প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বনানী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে প্রস্তুতি চলছিল।

তুরিন আফরোজ বলেন, চিঠিতে আমার পেশাগত বিষয় ছাড়াও আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। চিঠির ভাষা এতোটাই অশালীন যে এটা সভ্য সমাজের ভাষা হতে পারে না।

তিনি বলেন, পেশাদারিত্বের চেয়েও একজন নারী হিসেবে আমাকে এ চিঠিতে আক্রমণ করা হয়েছে বেশি।

বড় বড় বিকৃত অক্ষরে লেখা চিঠিতে তুরিন আফরোজকে সম্বোধন করে লেখা হয়েছে, গতকাল তুমি আনু মুহাম্মদ প্রভৃতির বিরুদ্ধে তুমি ২নং ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক করেছো। যাঁদেরকে তুমি আদালত অবমাননার শাস্তি দেয়ার জন্য এত কসরত করেছো তুমি তো তাদের একটা মরা……..যোগ্যও নও।

যাঁদের ‘শাস্তি’ দেওয়ার জন্য এত চেষ্টা তাঁরা কারা? এদের মধ্যে যাঁরা আছেন তাঁরা দেশের সম্পদ। আনু বা জাফরুল্লাহর পায়ের ধূলার যোগ্যও তুমি না, তাই না?

তুমি… (গালি), এঁরা যে সমাজে থাকে, ঘুরাফেরা করে তার আশে পাশ দিয়ে যাওয়ার যোগ্যতাটুকুও রাখো না।

তুমি যে মহান ট্রাইব্যুনাল এবং ষড়যন্ত্রের কথা বলছো তা এক আস্ত…..(গালি) ছাড়া কেউ বলে না। ট্রাইব্যুনালের তথাকথিত জজরা তো পাড়ার গলির বিবাদ মিমাংসার যোগ্যতাও রাখে না।
তুমি এক বস্তাপঁচা…।

এরপর চিঠিতে যা লেখা আছে তার সবই অশ্লীল, অকথ্য ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমণ।

সূত্র : বাংলানিউজ