বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আজ কিরগিজস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ

SHARE

b vs kর‌্যাকিংয়ে এগিয়ে থাকায় বিশ্বকাপের জন্য এবার আর প্রাক বাছাই খেলতে হয়নি বাংলাদেশকে। সরাসরি ২০১৮ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছে লাল-সবুজের পতাকাবাহীরা।

এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পরিকল্পনা ও কর্মযজ্ঞ অনেকদিন ধরেই চলছে। সে অনুসারে কাজও হয়েছে। অনুশীলন ক্যাম্প। ফিটনেস ক্যাম্প। প্রস্তুতি ম্যাচ। বলতে গেলে বাদ যায়নি কোনোটাই। এসব কিছু এবার মাঠে প্রমাণ করার সুযোগ।

আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে কিরগিজস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বিকেল ৫টায় ম্যাচটি মাঠে গড়াবে। সরাসরি সম্প্রচার করবে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নাইন।

এই ম্যাচে মাঠে নামার আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। ৩১ মে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দারুণ খেলেও ২-১ গোলে হেরে যায়। দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও ৯৩ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থাকে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। কিন্তু শেষ মুহূর্তের গোলে ম্যাচটি ড্র হয়। ওই দুটো ছিল প্রস্তুতি ম্যাচ। আজ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। তাই আজ হেরে যাওয়া কিংবা ড্র করা নয়, পূর্ণ তিন পয়েন্টই চাই বাংলাদেশের।

বাংলাদেশ দলের কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ যেমনটি বললেন, আমাদের জন্য ম্যাচটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রীতি ম্যাচে আমরা খুব ভাল করতে পারিনি। এই ম্যাচে সবাই শতভাগ উজাড় করে দিয়ে খেলতে প্রস্তুত। আমাদের ঘরের মাঠে খেলা হবে। দেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা থাকবে। আমরাও সে সব বিবেচনায় রেখে প্রস্তুতি নিয়েছি। আজ আমাদের ভাল কিছু করার সুযোগ আছে। পূর্ণ তিন পয়েন্টের জন্যই মাঠে নামব।

অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম মামুনের কণ্ঠেও জয়ের প্রত্যয়, আমাদের ঘরের মাঠে খেলা হবে। তাই ম্যাচে আমাদের লক্ষ্য থাকবে ৩ পয়েন্ট আদায় করে নেওয়া। ওরা শারীরিকভাবে শক্তিশালী। ইংলিশদের মতো পাওয়ার ফুটবল খেলে। লং পাসে বল দিয়ে থাকে। আমরা ছোট পাসে মাঠে বল রেখে খেলতে চাই।

কিরগিজস্তানের চেয়ে র‌্যাকিংয়ে অবশ্য বাংলাদেশ এগিয়ে। ফিফা র‌্যাকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৬। অন্যদিকে কিরগিজস্তান রয়েছে ১৭৭তম স্থানে। তবে ফিটনেসের দিক দিয়ে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের চেয়ে কিরগিজরা বেশ এগিয়ে।

কিরগিজস্তান দল সম্পর্কে বাংলাদেশের যেমন খুব বেশি ধারণা নেই। তেমনি বাংলাদেশ দল সম্পর্কেও ধারণা নেই কিরগিজদের। তবে সুনির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশে এসেছে তারা। সেই লক্ষ্যটি কি সে সম্পর্কে খোলাসা করে বলেননি দলটির কোচ আলেক্সান্ডার ক্রেস্টিনিন।

তিনি বলেন আমরা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই এসেছি। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও নিয়েছি। আমরা আরব আমিরাতে অনুশীলন ক্যাম্প করেছি। বাড়তি অনুপ্রেরণারও ব্যবস্থা ছিল। তবে আমরা বুঝতে পারছি আজকের ম্যাচটি আমাদের জন্য কঠিন হবে।

২০১০ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল কিরগিজস্তান। সেই সুখস্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে অধিনায়ক আজামত বৈমাতভ বলেন, আমরা একই কন্ডিশনে ২০১০ সালে খেলেছিলাম। ওই ম্যাচে অবশ্য আমরা জিতেছিলাম। তবে বাংলাদেশ দলের প্রতি আমাদের পূর্ণ সম্মান আছে। ঘরের মাঠে তারা বেশ শক্তিশালী। আজকের ম্যাচটি যে আমাদের জন্য সহজ হবে না সেটা বুঝতে পারছি।

র‌্যাকিংয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে। তার ওপর ঘরের মাঠে খেলা। প্রস্তুতিও কিরগিজস্তানের চেয়ে বেশি নিয়েছে বাংলাদেশ। বলতে গেলে সবদিক দিয়েই এগিয়ে মামুনুল-এমিলিরা। এই এগিয়ে থাকাটা মাঠেও ধরে রাখতে পারবে কি বাংলাদেশ?