রমযানের আগেই কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার চিন্তা করছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোট।
জোটের শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বৈঠকে পরবর্তী আন্দোলন, জোট সম্প্রসারণ সমসাময়িক ইস্যু নিয়েই মূলত আলোচনা হয়।
বুধবার রাত সোয়া ৯টার পরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে শুরু হওয়া বৈঠক শেষ হয় সোয়া ১১টায়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রমযানের আগেই সরকারবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেকে কঠোর কর্মসূচির পক্ষে মত দিয়েছেন। পাশাপাশি জোটে সাম্যবাদী দলের যুক্ত হওয়া নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের বিষয় জানাবেন।’
সাম্যবাদী দল বিএনপি জোটে যোগ দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যারাই সরকারের ফ্যাসিবাদী আচারণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে তারাই জোটে যুক্ত হতে পারবে। এটা একটা ইতিবাচক দিক।’
বৈঠকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব) অলি আহমদ, বাংলাদেশ বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিশের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা ইসহাক, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মে. (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল মোবিন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল হক মজুমদার, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) শওকত হোসেন নীলু, পিপলস লীগের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গরীবে নেওয়াজ, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি আজহারুল হক, এনডিপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গোলাম মোর্তজা, জামায়াত ইসলামীর কর্মপরিষদের সদস্য আব্দুল হালিম, জাতীয় পার্টি (একাংশের) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডা. এ টি এম ফজলে রাব্বী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।