লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় দেহ ব্যবসায় রাজী না হওয়ায় সুচনা আক্তার লাইজু (১৮) নামে এক গৃহবধূর মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এছাড়া তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানা পুলিশ নির্যাতিত গৃহবধূর শাশুড়ি মুক্তা বেগমকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত ১ বছর আগে কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ভোটমারী (মাস্টার পাড়া) গ্রামের ফজিজার রহমানের মেয়ে সুচনা আক্তার লাইজুর সঙ্গে নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার কিশামত খুটামারা ইউনিয়নের টেংগরমারী বটতলা গ্রামের আব্দুল্লার ছেলে মাসুদ রানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন লাইজুকে দেহ ব্যবসা করার জন্য চাপ দিতে থাকে। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে লোকজন এনে তাকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার চেষ্টা করা হয়। লাইজু ঘটনাটি তার বাবার বাড়িতে জানালে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার উপর নির্যাতন চালায়।
গত ২৬ মে লাইজুকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে তার শাশুড়ি, ননদ ও স্বামী চুল কেটে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। এছাড়া তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে অসুস্থ হলে গত সোমবার লাইজুকে নিয়ে তার শাশুড়ি দক্ষিণ ভোটমারী গ্রামে লাইজুর বাবার বাড়িতে নিয়ে আসে। লাইজুকে বাড়িতে রেখে শাশুড়ি মুক্তা বেগম কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে। খবর পেয়ে বুধবার কালীগঞ্জ থানা পুলিশ লাইজু ও তার শাশুড়িকে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে সুচনা আক্তার লাইজু বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল নীলফামারী জেলার জলঢাকা থানা হওয়ায় আসামিসহ মামলাটি জলঢাকা থানায় স্থানান্তর করা হয়েছে।