ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে গাজা উপত্যকার উত্তরে দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত দুই ব্যক্তি ‘সন্দেহজনক কিছু বস্তু’ বহন করছিলেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে সেই বস্তুগুলো কী ছিল—তা এখন পর্যন্ত তারা শনাক্ত করতে পারেনি বা প্রকাশ করেনি।
মিডল ইস্ট আইয়ের খবরে বলা হয়, সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির পর থেকে গাজার উত্তরের হলুদ রেখার কাছাকাছি বাফার জোনে ইসরায়েলি সৈন্যরা প্রায়ই ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্যবস্তু করছে।
এসব ঘটনায় তারা নিহতদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে অভিযুক্ত করে আসছে।
এদিকে ২০২৫ সালে স্যাটেলাইট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকাজুড়ে বেশিরভাগ কাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। জাতিসংঘের গত অক্টোবরের একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে প্রায় ৮১ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত কাঠামো দেখানো হয়েছে। একই সময়ে গাজার কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে।
ফাও এবং জাতিসংঘের স্যাটেলাইট সেন্টারের ভূস্থানিক মূল্যায়নে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ফসলি জমি, বাগান এবং গ্রিনহাউস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জলপাইবাগানের জন্য ব্যবহৃত ৭৫ শতাংশেরও বেশি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। অন্যদিকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত গ্রিনহাউস এবং স্থায়ী ফসলের বৃহৎ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৮২.৮ শতাংশ কৃষি কূপ এবং সেচ স্থাপনা পরিষেবার বাইরে রয়েছে, যা উৎপাদনকে আরো ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং লবণাক্তকরণকে ত্বরান্বিত করছে।
জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি সতর্ক করে দিয়েছে, এরই মধ্যে ব্যাপকভাবে দূষিত মাটি এবং মিঠা পানির পতন, খাদ্য উৎপাদন এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ‘খাদ্য উৎপাদনের ঝুঁকি’ রয়েছে।




