নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, বিএনপি সমমনাদের সঙ্গে বসে আলোচনা না করেই নিজেদের মতো প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
এতে জোটবদ্ধ নির্বাচন নিয়ে স্পষ্টতা কমে গেছে এবং বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচন ও গণতন্ত্রের সংগ্রাম’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, সময়টা অত্যন্ত জটিল। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা পরিস্থিতিকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে।
তিনি বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া অসাধারণ জনপ্রিয় নেত্রী।
তার অবস্থার এমন অবনতি হলে বিএনপি আদৌ নির্বাচন করতে পারবে কি না—সেই প্রশ্ন আছে। তবে নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।”
বিএনপির জোট রাজনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করবে, নাকি আসনভিত্তিক সমঝোতায় যাবে- এটি এখনো নিশ্চিত নয়।
বেশ কিছু আসনে প্রার্থী ঘোষণা না করে তারা সমমনা দলগুলোর জন্য আসন ছাড়ার সম্ভাবনা রেখেছে।
তবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে দলটির সম্ভাব্য প্রার্থীদের জনসংযোগও কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়েছে।
মান্না অভিযোগ করেন, সরকার ছলচাতুরির মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করতে পারে।
তার মতে, আন্তর্জাতিক সমর্থনও সরকারের পক্ষে আগের মতো নেই। তাই নির্বাচন ছাড়া দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটানো সম্ভব নয়।
গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যান্য নেতাদের বক্তব্য
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ধর্ম বা জাতীয়তাবাদের নামে কোনো ধরনের ফ্যাসিবাদ জনগণ মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক পথেই এগোতে হবে। দ্রুত অবাধ–সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া সংকট কাটবে না।”
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সংশোধিত আরপিও নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে- তা কি কোনও বিশেষ দলকে সুবিধা দিতে করা হয়েছে?
তিনি সতর্ক করে বলেন, সরকার ও ইসির নিরপেক্ষতার প্রমাণ না মিললে আগামী নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং নতুন রাজনৈতিক সংকট দেখা দেবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। বক্তব্য দেন ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খানসহ অন্যান্য নেতারা।




