তিয়েনআনমেন নিয়ে ভয়: গ্রেপ্তার ও গুম চলছে চীনে

SHARE

চীনের তিয়েনআনমেন স্কয়ারের গণজোয়ারে হত্যাযজ্ঞের ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। এ মুহূর্তে চীনের রাজধানী বেইজিংএর রাস্তায় টহল দিয়ে বেড়াচ্ছে হাজার হাজার দাঙ্গা পুলিশ। সাধারণ পথচারি ও বিদেশি সাংবাদিকদের পরিচয়পত্র ও সংশ্লিষ্ট কাগজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনবোধে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে image_94273_0‘সন্দেহভাজনদের।’ বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চলছে ‘সন্দেহভাজনদের’ গ্রেপ্তার কর্মসূচি। তালিকায় পড়েছে আইনজীবি, সাংবাদিক, স্বেচ্ছাসেবকসহ আরও অনেক গণমুখী শ্রেণি ও পেশার মানুষ। তিয়েনআনমেন স্কয়ারের ‘বিভীষিকাময়’ দিনটির ২৫তম স্মরণকে যথাসম্ভব ‘শান্তভাবে’ অতিক্রান্ত হতে দিতে চায় প্রশাসন। বিপরীতে একে সামনে রেখে সরকারি ধরপাকড় উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমে এসেছে চীনের সাধারণ মানুষ। আগের দিন রাতে মোমবাতি হাতে পুরনো সে হত্যাযজ্ঞের প্রতি ঘৃণা জানিয়ে মৃতদের প্রতি ভালোবাসা জানিয়েছে তারা। চীনের আভ্যন্তরীণ স্বায়ত্বশাসিত প্রদেশ হংকং-এ তিয়েনআনমেনের স্মরণর‌্যালীতে কয়েক হাজার লোকসমাগম হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশের বাইরে তাইওয়ানেও চলছে ব্যাপক উদ্যোগ-উদ্দীপনাযজ্ঞ। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এখনও পর্যন্ত চীনে রাষ্ট্রযন্ত্র কর্তৃক গ্রেপ্তারকৃতদের একটি তালিকা তৈরি করে ফেলেছে। এ পর্যন্ত তালিকায় যুক্ত হয়েছে ৬৬টি নাম। এদের অনেককে কারাগারে দেখা যাচ্ছে, কিন্তু অনেকেই হয়ে পড়েছে স্রেফ নিখোঁজ।  সাধারণ মানুষকে নিরস্ত করতে একইসঙ্গে চীনের ইন্টারনেটে আরোপ করা হয়েছে অবরোধ। সে দেশে এ মুহূর্তে ‘তিয়েনআনমেন’, ‘১৯৮৯’, ‘হত্যাযজ্ঞ’, ‘আন্দোলন’ প্রভৃতি শব্দ দিয়ে সার্চ ইঞ্জিন গুগলে খোঁজ চালালে কোন ফলাফল আসছে না। বিশেষ কিছু ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যে কারণে নতুন প্রজন্মের যারা এ ব্যাপারে জানতে আগ্রহী তারা জানতে পারছে না;  ১৯৮৯ সালে তৎকালীন সমাজতন্ত্রবাদি সরকার রাজনীতির ওপর ব্যপক নিয়ন্ত্রণ আরোপ করায় বেইজিংএর তিয়েনআনমেন স্কয়ারে ছাত্র, শিল্পী ও পেশাজীবিসহ সর্বস্তরের লক্ষাধিক মানুষ সরকারবিরোধী এক সমাবেশে জড়ো হয়েছিল। সরকার একে ‘প্রতিবিপ্লবী আন্দোলন’ আখ্যা দিয়ে দমন করার জন্যে সশস্ত্র বাহিনী প্রেরণ করেছিল এবং তাদের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে তিয়েনআনমেন স্কয়ারে জমে উঠেছিল হাজার হাজার বেসামরিক মানুষের লাশের পাহাড়।