ব্যবসায়ীর ৯০ ভরি ওজনের দুটি সোনার বার ডাকাতির মামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাবেক সহকারী পরিচালক এস এম সাকিব হোসেনসহ ছয়জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শিহাবুল ইসলাম এ রায় দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মিলন হোসেন এ তথ্য জানান।
দণ্ডিত অপর আসামিরা হলেন- মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক ইব্রাহিম শিকদার, জীবন পাল, আমিনুল ইসলাম, রতন কুমার সেন এবং এমদাদুল হক।
এদের মধ্যে সাকিব ও জীবনকে ৮ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো তিন মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অপর চার আসামিকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরো তিন মাস করে কারাভোগ করতে হবে। হারুন মুন্সী নামে এক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার আগে সাত আসামি আদালতে হাজির করা হয়।
তবে রায় ঘোষণার আগে জীবন পালিয়ে যান। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। দণ্ডিত অপর পাঁচ আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
৯০ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালের ১১ জানুয়ারি পুরান ঢাকার জিন্দাবাহার লেনের ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ওই বছরের ৭ জানুয়ারি ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কয়েক ব্যক্তি সিদ্দিকুর রহমানকে তুলে নিয়ে ৯০ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়। অজ্ঞাত ওই ব্যক্তিরা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৫ অক্টোবর ৮ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন কোতয়ালী থানার এসআই রুবেল মল্লিক। ২০২২ সালের ৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আলমগীর হোসেন নামে এক আসামি মারা যায়।
এদিকে আদালত মামলার বিচার চলাকালে ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে।




