এবার কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তবিরোধ থামাতে থাই প্রধানমন্ত্রীকে ট্রাম্পের চিঠি

SHARE

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন। ট্রাম্প চিঠিতে জানিয়েছেন, তিনি থাইল্যান্ড ও প্রতিবেশী কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনার সমাধান দেখতে চান। আজ বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন থাই প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল।

এর আগে থাই প্রধানমন্ত্রী এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, নোবেল শান্তি পুরস্কারের দৌড়ে থাকা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সীমান্তবিরোধ সমাধানে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যকার ভবিষ্যৎ আলোচনায় আর কোনো ভূমিকা থাকবে না।

গত জুলাই মাসে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে কয়েক দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘাতে ৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হন এবং প্রায় ৩ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। ফলে গোটা অঞ্চলে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

পাঁচ দিনের রক্তক্ষয়ী লড়াই শেষে উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
যা আংশিকভাবে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হয়েছিল। তবে এরপর থেকেই উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে আসছে। পরে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত জানান, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছেন। সীমান্ত সংঘাতের অবসান ঘটানোর জন্য তার উদ্ভাবনী কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রশংসাও করেন।

অনুতিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প আমাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, যেখানে তিনি থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া উভয় দেশকে সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি তাকে আমাদের অবস্থান জানিয়ে উত্তর দেব… আর যদি কম্বোডিয়া আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নেয়, তবে থাইল্যান্ডও সেই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে প্রস্তুত।’

অনুতিন বলেন, ‘যদি কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকা থেকে ভারী অস্ত্র সরিয়ে নেয়, ল্যান্ডমাইন অপসারণ করে, সীমান্তে সক্রিয় ইন্টারনেট স্ক্যামারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় এবং থাইল্যান্ডের দাবি করা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নেয়, তাহলে থাইল্যান্ড আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।’ অন্যদিকে, কম্বোডিয়া জানিয়েছে তাদের নাগরিকরা কয়েক দশক ধরে ওই বিতর্কিত সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে বসবাস করে আসছে।

বুধবার যখন সাংবাদিকরা অনুতিনকে জিজ্ঞেস করেন, কম্বোডিয়া যদি ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে, তবে কি নমপেন বিশেষ সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে? তখন তিনি বলেন, ‘আমি কেবল থাইল্যান্ডের স্বার্থ, থাই জনগণের নিরাপত্তা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়েই ভাবি।
যদি কেউ পুরস্কার জিতে, সেটা তাদের জন্য ভালো কিন্তু থাইল্যান্ড কী করবে বা কী সিদ্ধান্ত নেবে, তার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।’

সূত্র : এএফপি