রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তিতে কোটার সুযোগ পাবেন শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানরা। ১ম বর্ষে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা প্রদানের বিষয়ে গঠিত কমিটির সুপারিশক্রমে শর্তসাপেক্ষে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে পোষ্য কোটায় ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ভর্তি কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। উপাচার্যের দায়িত্বে নিযুক্ত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) এই সভায় সভাপতিত্ব করেন।
প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় ভর্তির শর্তসমূহ হচ্ছে, কেবলমাত্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গর্ভজাত সন্তান এই ভর্তির সুযোগ পাবেন। ভর্তির প্রাথমিক আবেদনের জন্য বিজ্ঞাপিত যোগ্যতা এবং শর্তের ক্ষেত্রেও এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে। মেধার ভিত্তিতে ভর্তির জন্য নির্ধারিত আসনসংখ্যার অতিরিক্ত হিসেবে এ প্রক্রিয়ায় ভর্তির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। ভর্তির ক্ষেত্রে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনা করে মেধা অনুসরণ করা হবে।
শর্তগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে, ভর্তির আবেদন বিবেচনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্ধারিত শর্তাবলীসহ অবশ্যই ন্যূনতম পাস নম্বর থাকতে হবে। কোন বিভাগে ২ জনের অধিক ভর্তির সুযোগ থাকবে না। কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারির সন্তানকে তার কর্মরত বিভাগে ভর্তি করানো যাবে না। এ সুবিধার আওতায় নিজেদের মধ্যে ‘অটো মাইগ্রেশন’ ছাড়া শিক্ষার্থীর বিভাগ পরিবর্তনের অন্য কোনো সুযোগ থাকবে না। ভর্তির ক্ষেত্রে এবং পরবর্তীতে কোনো অভিভাবকের অনিয়মের আশ্রয় নেয়ার বিষয় প্রমাণিত হলে ছাত্রত্ব বাতিলসহ সংশ্লিষ্ট অভিভাবকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে অঙ্গিকারনামায় উল্লেখ করতে হবে। এ সুবিধার আওতায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী কোনোভাবেই আবাসিক হলে সিটের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন না।
এদিকে, দাবি পূরণ হওয়ায় আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ডাকা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এ সিদ্ধান্তের পরপর বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন রাবি ছাত্রশিবির, ছাত্রদলসহ বাম ছাত্র সংগঠনের নেতারা।