রাফিনহা, লোপেজ, লেভানদোভস্কির জোড়া গোলে বার্সেলোনার বড় জয়

SHARE

আন্তর্জাতিক ফুটবল বিরতি শেষে পুনরায় মাঠে ফিরেছে লা লিগা। চতুর্থ ম্যাচ ডে-তে ভ্যালেন্সিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল বার্সেলোনা। পুরোটা সময় দাপুটে পারফরম্যান্স করে বড় জয় তুলে নিয়েছে লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা। ফারমিন লোপেজ, রাফিনহা আর রবার্ট লেভানদোভস্কির জোড়া গোলে ৬-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। এর মাঝে পাঁচটি গোলই দ্বিতীয়ার্ধে করেছে তারা।

৬ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার ইয়োহান ক্রুইফ স্টেডিয়ামে রোববার রাতে লা লিগার ম্যাচে বার্সেলোনার দাপটের চিত্র স্পষ্ট অন্যান্য পরিসংখ্যানেও। ৭২ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ২৪টি শট নিয়ে ১০টি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। অন্যদিকে ভ্যালেন্সিয়া গোলে শট নিতে পারে মাত্র দুটি, যার একটি ছিল লক্ষ্যে।

শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের পর আন্তর্জাতিক ফুটবল বিরতির আগে রায়ো ভায়োকানোর সঙ্গে ড্র করেছিল বার্সেলোনা। চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে এখন দুই নম্বরে আছে কাতালান ক্লাবটি। ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ।

লা লিগায় চলতি মৌসুমে প্রথমবার ঘরের মাঠে খেলেছে বার্সেলোনা। প্রাথমিকভাবে ম্যাচটি ন্যু ক্যাম্পে খেলার কথা থাকলেও দুই বছর ধরে সংস্কার চলমান থাকা স্টেডিয়ামটি যথাসময়ে প্রস্তুত না হওয়ায় কাতালান দলটিকে পরিকল্পনা বদলাতে হয়। চোটের কারণে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য লামিনে ইয়ামালকে এই ম্যাচে পায়নি বার্সেলোনা।

ম্যাচের শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তার করে বার্সেলোনা। দলটি প্রথম বড় সুযোগ পায় দশম মিনিটে। গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান ফেরান তরেস। কিন্তু তার চিপ শট ক্রসবার ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। পঞ্চদশ মিনিটে লোপেজের শট ঠেকিয়ে দেন ভ্যালেন্সিয়া গোলরক্ষক। ২৯তম মিনিটে দারুণ ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।

এ সময় সতীর্থের ক্রসে প্রথম স্পর্শে পা ছুঁয়ে দারুণ পাস দেন তরেস। বক্সে ঢুকে ডান পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন লোপেজ। আক্রমণ চালিয়ে গেলেও প্রথমার্ধে আর জালের দেখা পায়নি বার্সেলোনা। প্রথমার্ধে গোলের জন্য মোট ১১টি শট নিয়ে তিনটি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। এই সময়ে ভ্যালেন্সিয়া গোলে কোনো শটই নিতে পারেনি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সুযোগ হারান তরেস। ৫৩ থেকে ৫৬, এই চার মিনিটের মধ্যে আরও দুই গোল করে জয়ের পথে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। প্রথমে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি নামা রাফিনহা। রাশফোর্ডের ক্রস বক্সে পেয়ে কাছ থেকে স্লাইডে বল জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

একটু পর নিজের দ্বিতীয় গোল পান লোপেজ। মার্ক কাসাদোর পাস ধরে একটু এগিয়ে ২৫ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের বুলেট গতির শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ২২ বছর বয়সী ফুটবলার। ৬৬তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলে স্কোরলাইন ৪-০ করেন রাফিনহা। সতীর্থের ক্রস বক্সে ভ্যালেন্সিয়ার এক ডিফেন্ডারের হাতে লাগার পর জোরাল হাফ ভলিতে জালে পাঠান তিনি।

এরপরই রাশফোর্ড ও তরেসকে তুলে দানি ওলমো ও লেভানদোভস্কিকে নামান বার্সেলোনা কোচ। এই দুই বদলির নৈপুণ্যে ১০ মিনিট পর পঞ্চম গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা। ক্লাবটির হয়ে দেড়শতম ম্যাচ খেলতে নেমে দ্রুতই স্কোরশিটে নাম তোলেন লেভানদোভস্কি। ওলমোর পাস বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শট নেন পোলিশ তারকা, বল ক্রসবারের নিচের দিকে লেগে জালে জড়ায়।

হ্যাটট্রিকের সুযোগ একাধিকবার পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি রাফিনহা। নির্ধারিত সময়ের চার মিনিট বাকি থাকতে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান লেভানদোভস্কি। মার্ক বের্নালের পাস বক্সে পেয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ৩৭ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।