ইনিংসের শুরুতেই বালির বাঁধের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। তাতে বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন অধিনায়ক লিটন দাস। তবে তার বাঁধ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
চাপে থাকা অবস্থায় অযথা রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বাঁধটা ভেঙে দিলেন লিটন।
তার আউটে বাংলাদেশের ইনিংস দাঁড়ায় ধ্বংস্তূপে। ব্যক্তিগত ২৮ রানে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ দেন তিনি। আম্পায়ার শুরুতে আউটের আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নিয়ে সফল হয় শ্রীলঙ্কা।
লিটনকে ফেরানোর আগে টি-টোয়েন্টিতে ৮ মাস পর খেলতে নামা হাসারাঙ্গা ফেরান শেখ মেহেদীকে।
এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়া মেহেদী ফেরেন ৯ রানে। এর আগে বাংলাদেশকে দুঃস্বপ্নের শুরু এনে দেন শ্রীলঙ্কার দুই পেসার নুয়ান তুষারা ও দুষ্মন্ত চামিরা।
তুষারা-চামিরা দুজনই ইনিংসের প্রথম দুই ওভার নেন উইকেট মেডেন। শুরুটা করেন তুষারা।
ইনিংসের প্রথম ওভারের ষষ্ঠ বলে তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট উপড়ে ফেলে। ফিরতি ওভারে আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন চামিরা। তাতে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ২ ওভার শেষে ০ রান ২ উইকেট।
এমন বাজে শুরুর পর ইনিংসকে এগিয়ে নেওয়ার বিপরীতে একবার ‘জীবন’ পেয়ে ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়। ৮ রানে ফেরেন তিনি।
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ১৩ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ৭৬ রান। উইকেটে আছেন জাকের আলি অনিক (১৬) ও শামীম হোসেন (১২)