পশ্চিম সুদানে ভয়াবহ ভূমিধসে অন্তত ১,০০০ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় এক বিদ্রোহী গোষ্ঠী। রবিবার (৩১ আগস্ট) টানা ভারি বর্ষণের পর মাররা পর্বতমালা এলাকায় একটি গ্রাম ধসে পড়ে এবং পুরো গ্রামটি মাটির সঙ্গে মিশে যায় বলে জানায় তারা। খবর দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসির।
ওই অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট/আর্মি (এসএলএম/এ)।
গোষ্ঠীটির নেতা আবদেলওয়াহিদ নূর জানিয়েছেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী গ্রামের সব বাসিন্দাই মারা গেছেন। মৃতের সংখ্যা আনুমানিক এক হাজারেরও বেশি। কেবল একজন বেঁচে আছেন।
তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে।
এ ঘটনায় জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর কাছে মৃতদের মরদেহ উদ্ধারে সহায়তার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ঘটনাস্থলের চিত্রে দেখা যায়, লোকজন মাটিতে বসে আছে, চারপাশে তাদের সামান্য কিছু মালপত্র ছড়িয়ে আছে। কেউ কেউ টিন ও কাপড় দিয়ে বানানো অস্থায়ী ছাউনির নিচে আশ্রয় নিয়েছে, অনেকে আবার খোলা রোদে বসে আছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গ্রামটি এখন পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
এদিকে, রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সুদান এখন বিশ্বের ভয়াবহতম মানবিক সংকটগুলোর একটির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই দারফুরের কিছু এলাকায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়েছে।
গত মার্চে সেনাবাহিনী রাজধানী খার্তুমের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে দারফুর অঞ্চলে, বিশেষ করে এল-ফাশেরে, লড়াই আরো তীব্র হয়েছে।
সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে চলমান সংঘাত থেকে বাঁচতে অনেক বাসিন্দা আশ্রয় নিয়েছিলেন মাররা পর্বতমালায়। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত খাবার ও ওষুধের অভাব রয়েছে।
গৃহযুদ্ধের কারণে সুদানের অর্ধেকেরও বেশি জনগণ এখন চরম খাদ্য সংকটে ভুগছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।