ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে সীমান্ত বিষয়ক আলোচনা সম্ভব নয়: ম্যাক্রোঁ

SHARE

ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে সীমান্ত বিষয়ক আলোচনা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ছাড়া সীমান্ত বিষয়ক কোনো আলোচনা হতে পারে না এবং বর্তমানে টেবিলে কোনো ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমি বিনিময়ের প্রস্তাবও নেই।

ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টসহ ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের পর তিনি এ কথা জানান। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আসন্ন আলাস্কা বৈঠকের আগে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ট্রাম্প ও পুতিনের ওই বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান নিয়ে আলোচনা হবে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেন, “ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ছাড়া এসব বিষয় আলোচনা করা যাবে না। বর্তমানে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমি বিনিময়ের প্রস্তাব টেবিলে নেই”।

ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট অ্যান্তোনিও কোস্তার সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, দখলকৃত এলাকা নিয়ে প্রশ্ন শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রে “নির্ধারক উপাদান” হবে এবং এটি ইউক্রেনের বাকি অংশ ও ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার সঙ্গে “অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত”।

তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠক করা একেবারেই স্বাভাবিক বিষয়। এটি পরিস্থিতি শান্ত করতে সহায়ক হতে পারে। তাদের অনেক দ্বিপাক্ষিক বিষয়ও আছে। তবে ইউরোপের নিরাপত্তা — আমাদের সম্মিলিত নিরাপত্তা — সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে ইউরোপীয়দের সঙ্গে সমন্বয় থাকা জরুরি।”

ম্যাক্রোঁ জানান, ট্রাম্পের পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের “প্রথম লক্ষ্য” হবে যুদ্ধবিরতির আহ্বান। তিনি আরও বলেন, “আমরা নতুন একটি নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদন করেছি, আরেকটি প্রস্তুত করছি। আগামী কয়েক দিন ও সপ্তাহের আলোচনার ওপর নির্ভর করবে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক কী হবে— তবে কোনো কিছুই বাদ দেওয়া উচিত নয়।”

অ্যান্তোনিও কোস্তা বলেন, রাশিয়ার ওপর চাপ অব্যাহত রাখা, ইউক্রেনকে সহায়তা এবং ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের বাকি অংশের মধ্যে সমন্বিত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো জরুরি। তিনি আরও বলেন, “এই যুদ্ধ শুধু ইউক্রেন নিয়ে নয়, বরং আন্তর্জাতিক আইন রক্ষা করার বিষয়।”

ট্রাম্প অবশ্য এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, শান্তিচুক্তিতে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে ভূমি বিনিময় হতে পারে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে ইউক্রেন সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।