ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় আরও দুইজনের সাক্ষ্য গ্রহন করেছেন আদালত। এ নিয়ে মামলাটির ৫৮ জন সাক্ষির মধ্যে ৩৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
বৃহস্পতিবারের সাক্ষিরা হলেন, মামলার রেকর্ডিং অফিসার আনোয়ারুল ইসলাম ও জব্দ তালিকার সাক্ষি আব্দুল কাদের ভুইয়া। ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে তারা সাক্ষ্য দেন। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বিচারক রুহুল আমিন সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামি ১৯মে পরবতী দিন ধার্য করেছেন।
সাক্ষ্য গ্রহনের সময় কারাগারে আটক মামলার ২ আসামি জেএমবির সূরা সদস্য আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ, ও হাফিজ মাহমুদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। অপর দুই আসামি মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক ও সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ছিনিয়ে নেয় জঙ্গীরা। তাদের অনুপস্থিতিতেই মামলার কার্যক্রম চলছে। আরেক আসামি নুর মোহাম্মদ ওরফে সাবু শুরু থেকেই পলাতক।
এর আগে গত ১ জানুয়ারি হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির, ১৭ জানুয়ারি আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গণি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাকালীন এলএলবি অনার্সের ছাত্র অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুর রহমান আশিক এবং ১৭ ফেব্রুয়ারী ড. হুমায়ুন আজাদের স্ত্রী লতিফা, কবি মোহন রায়হান ও কবি সাংবাদিক নাসির আহমেদ মামলাটিতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন হুমায়ুন আজাদ।
এ সময় তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মাথায়, মুখে ও ঘাড়ের উপর মারাত্মক জখম করে। ঘটনার পরদিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল সিআইডি’র পরিদর্শক লুৎফর রহমান উক্ত ৫ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিট দাখিলের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের ৮ বছর তিন মাস পর ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার তদন্তের বেড়াজাল ছিঁড়ে বিচার শুরু হবার পথ সুগম হয়।