আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে উৎক্ষেপিত রাশিয়ার একটি মহাকাশযান শুক্রবার ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়বে। এই সেই রুশ মহাকাশযান, যেটি গত মঙ্গলবার কাজাখস্তান থেকে উৎক্ষেপণের কিছু সময় পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে পরিভ্রমণ করতে থাকে।
রাশিয়ার মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মহাকাশযানটি শুক্রবার পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে। এ সময় এটি আগুনে পুড়তে পুড়তে ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়বে। তবে স্থলভাগে নয়, মহাকাশযানটি সাগরেই পড়বে।
মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে তিন টন রসদ নিয়ে রওনা হয় মহাকাশযানটি। এটির নির্দিষ্ট কোনো নাম জানা যায়নি। বেনামি এই মহাকাশযান পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করলেই ভস্মীভূত হওয়া শুরু করবে।
ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪২০ কিলোমিটার উচ্চায় পৃথিবীর কক্ষপথে অবস্থিত মহাকাশ স্টেশনের ছয়জন ক্রুর জন্য খাদ্য, পানি, জ্বালানি, অক্সিজেন ও পোশাক নিয়ে যাত্রা শুরু করে মহাকাশযানটি।
কিন্তু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাকাশযানটি কক্ষপথে বিক্ষিপ্তভাবে ঘুরতে ঘুরতে যুক্তরাষ্ট্র, কলম্বিয়া, ব্রাজিল ও ইন্দোনেশিয়ার মহাকাশে চলে যায়।
রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমস জানিয়েছে, তাদের স্থানীয় শুক্রবার দুপুর ১টা থেকে রাত ১১টার মধ্যে মহাকাশযানটির অস্তিত্ব ধ্বংস করা সম্ভব হবে।
তারা আরো জানিয়েছে, ভস্মীভূত হওয়া মহাকাশযানটির কিছু যন্ত্রাংশ ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়তে পারে। বায়ুমণ্ডলে থাকা অবস্থাতেই এটির অধিকাংশ অংশ পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।
তবে কেন রাশিয়ার এই মহাকাশযান নিয়ন্ত্রণ হারাল, তা এখনো জানা যায়নি। এ জন্য একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন পাওয়ার পর হয়তো জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা।
রসকসমসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মহাকাশযানটি ধ্বংস হওয়ায় রাশিয়ার ৫০ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হচ্ছে।
মহাকাশ স্টেশনে প্রয়োজনীয় রসদ না পৌঁছানোয় উদ্বেগের কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছে রসকসমস। ১৯ জুন আবারও রসদবোঝাই মহাকাশযান পাঠানো হবে। তত দিন যে খাবার আছে, তাতে চলতে পারবেন ক্রুরা।