তামিমের পর ফিরে গেলেন মুমিনুল হক

SHARE

tamim imrulঢাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ৫৫৭ রানের জবাবে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে তামিম ইকবাল বিদায়ের পর দলীয় ৩৮ রানে ফিরে গেছেন মুমিনুল হক।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮.৪ ওভার শেষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৮ রান। ব্যাট করছেন ইমরুল কায়েস (২১) ও মাহমুদউল্লাহ  (০)।

ফিরে গেছেন তামিম ইকবাল (৪), মুমিনুল হক (১৩)।

পাকিস্তানের বড় সংগ্রহের জবাব দিতে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম ওভারে জুনায়েদ খানের দ্বিতীয় বল চার মারার পর চতুর্থ বলেই বিদায় নেন তামিম ইকবাল। জুনায়েদের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন এই বাঁহাতি। আগের টেস্টের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান তামিমের ব্যাট থেকে এদিন আসে ৪ রান।

এর আগে দ্বিতীয় দিনের চা বিরতির সময় ১৫২ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ৫৫৭ রান করে পাকিস্তান। চা বিরতির পর আর ব্যাটিংয়ে না নেমে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেন পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২২৬ রান করেন ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করা আজহার আলী। এ ছাড়া ইউনুস খান ১৪৮ ও আসাদ শফিক ১০৭ রান করে দলের বড় সংগ্রহে অবদান রাখেন।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। দুটি করে উইকেট জমা পড়ে মোহাম্মদ শহীদ ও শুভাগত হোমের ঝুলিতে। এ ছাড়া একটি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।

৩ উইকেটে ৩২৩ রান নিয়ে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে পাকিস্তান। আজহার ১২৭ ও মিসবাহ ৯ রান নিয়ে দিন শুরু করেন। তবে এদিন পাকিস্তান স্কোরবোর্ডে কোনো রান জমা করার আগেই মিসবাহকে ফেরান সাকিব। দিনের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে মিসবাহকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান বিশ্বসেরা টেস্ট অলরাউন্ডার।

মিসবাহর বিদায়ের পর আসাদ শফিককে নিয়ে বড় জুটি গড়ে তোলেন আজহার। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ওই ৪ উইকেটেই ৪২৮ রান তোলে পাকিস্তান। বিরতির পর ইনিংসের ১৩৯তম ওভারে সাকিবের বল লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করেন আজহার। একটু পর ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন তার সঙ্গী আসাদ।

তবে দলীয় ৫৩০ থেকে ৫৫৭, মাত্র ২৭ রানের মধ্যে পাকিস্তানের ৪ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। দলীয় ৫৩০ রানে ডাবল সেঞ্চুরি করা আজহারকে ফিরিয়ে বড় জুটি ভাঙেন শুভাগত হোম। লং অফে আজহারের ক্যাচ নেন মাহমুদউল্লাহ। ২২৬ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন আজহার। তার ৪২৮ বলের ইনিংসে ছিল ২০টি চার ও ২টি ছক্কার মার। আজহার-শফিক জুটিতে আসে ২০৭ রান।

নিজের পরের ওভারে এসে শফিককেও ফেরান শুভাগত। এবারও লং অফে ক্যাচ নেন মাহমুদউল্লাহ। এবারের ক্যাচটি ছিল অসাধারণ। ১৬৭ বলে ৯ চার ও এক ছক্কায় ১০৭ রান করেন শফিক। দলীয় ৫৫২ রানে ওয়াহাব রিয়াজকে ইমরুল কায়েসের ক্যাচে পরিণত করেন তাইজুল ইসলাম। একই ওভারের শেষ বলে ইয়াসির শাহকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন এই বাংলাদেশি স্পিনার।