বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান না দেখিয়ে যারা ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব পালনে বাধার সৃষ্টি করেছে সেটি সেই স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তির ঘটনাই আমরা দেখতে পাচ্ছি।’
আজ বুধবার বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তারুণ্যের সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তারেক রহমান। বিএনপির তিন সংগঠনের আয়োজনে আজ নয়াপল্টনে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ করে।
দুপুর ২টার কিছু আগে এই সমাবেশ শুরু হয়।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এই সমাবেশের আয়োজন করেছে।
তিনি তার বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে স্লোগানটি দেওয়ার আগে দলীয় নেতাকর্মী ও দেশের মানুষকে এটি শুনতে এবং এরপর স্লোগানটি উচ্চারণের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘পলাতক স্বৈরাচারের সময় দেখেছি তারা কিভাবে আদালত ও আদালতের রায়কে অবজ্ঞা করেছে। আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান না দেখিয়ে যারা বাধা তৈরি করেছে তার মধ্যে স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তি দেখতে পাচ্ছি।
’
তিনি আরো বলেন, ‘যারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখায় না, আদালতের নির্দেশ যারা অবজ্ঞা করে তাদের কাছ থেকে কতটা সংস্কার আশা করতে পারি?’
তিনি বলেন, ‘পুঁথিগত সংস্কারের চেয়ে ব্যক্তি মানসিকতার সংস্কার জরুরি। ইশরাকের শপথ গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে স্বৈরাচারী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ দেখতে পাচ্ছি।’
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের সব সিটি মেয়রকে অপসারণ করা হয়। এমন অবস্থায় গেল ২৭ মার্চ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল।
এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে ইসি।
একই দিন ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল করতে লিগ্যাল নোটিশ দেন দুই ব্যক্তি। নোটিশে গেজেট প্রকাশ ও ইশরাককে শপথ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
কিন্তু সরকার তাকে শপথ না পড়ানোর কারণে তার সমর্থকরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করেন। পরে গত ১৪ মে বিএনপির এই নেতাকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনটি করা হয়।
২২ মে রিট খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। এই রায়ের ফলে ইশরাক হোসেনের মেয়র হিসেবে শপথ পড়তে কোনো বাধা নেই।




