বাংলাদেশ-ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তি বিল পাসে ভারতের রাজ্যসভায় আলোচনা শুরু হয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বুধবার দুপুরে বিলটি উত্থাপন করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিলটি পাসে অনুমোদন দেয় ভারতীয় মন্ত্রিসভা।
রাজ্যসভায় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সিপিএমের সদস্য ঋতুব্রত ভর্ট্টাচার্য বলন, আমাদের দল শুরু থেকে ঐতিহাসিক এই বিল নিয়ে কথা বলে আসছে। বাংলাদশে স্বাধীন হলেও সেখানকার (ছিটমহলের) মানুষ আজও কোনো রাষ্ট্র পায়নি। তাই এই চুক্তি হওয়া খুব জরুরী। এই ঐতিহাসিক চুক্তি বাস্তবায়িত হলে চ্যাম্পিয়ন হবে মানবিকতা আর সেরা খেলোয়াড় হবে ভারত। আমরা সেই সুযোগের সামনে দাঁড়িয়ে আছি।
একই বিধানসভার কংগ্রেসের সদস্য প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, কংগ্রেস সরকার ছিটমহলের বাসিন্দাদের দুঃখ-কষ্ট বুঝে চুক্তি করেছিল। সেখানকার ছেলেমেয়ে এবং বাসিন্দারা পড়াশোনা, চিকিৎসার জন্য ভারত অথবা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ঢুকলে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের হাতে গ্রেফতার হতে হয়। এটা এমন একটা পরিবেশ যে, সেখানে মাটি আছে কিন্তু দেশ নেই।
ওডিশা বিধানসভার বিজেডির সদস্য বৈষ্ণব পারিধা বলেন, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেলেও কেন তারা দেশ পাবে না?
মহারাষ্ট্র বিধানসভার শিবসেনার এক সদস্য বলেন, চুক্তিতে আপত্তি নেই, কিন্তু অনুপ্রবেশে বন্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে।
আসাম বিধানসভার কংগ্রেসের সদস্য ভুবনেশ্বর কৈরালা বলেন, আসামকে বাদ দিয়ে বিল পাস করালে তা অসম্পূর্ণ হতো।
একই বিধানসভার বিপিএফের সদস্য বিশ্বজিত ভালোয়াড়ি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়ে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি সম্পন্ন করে সেখানকার উন্নয়ন ঘটানো উচিত। যাতে করে নতুন করে স্বল্প বা দীর্ঘ সময়ের জন্য অনুপ্রবশে না ঘটে।
আসাম বিধানসভার সদস্য মনশিঙ্কর আইয়ারও বিলটি পাসে সম্মতি জ্ঞাপন করেন।
রাজ্যসভায় বিরোধী দলনতো গোলাম নবি আজাদ বলেন, আমরা যখন বিল পাশ করতে চেয়েছিলাম বিজেপি তখন বিরোধিতা করেছিল। খুশির কথা হলো, চেয়ার বদলের সাথে সাথে তাদের মনও বদল হয়েছে।