এ মাসের ১১ তারিখ থেকে দু’দিনের জরুরি বৈঠক ডেকেছে লন্ডনের রয়্যাল স্যোসাইটি৷ সেখানে যোগ দেওয়ার তলব এসেছে বৃটেনের অগ্রণী ইঞ্জিনিয়ার, পদার্থবিদ এবং টেলিকম সংস্থাগুলির প্রযুক্তিবিদদের কাছে৷ আলোচ্য বিষয়, বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবস্থায় আসন্ন সংকট থেকে কী ভাবে রক্ষা পাওয়া যায়৷
ইন্টারনেট সংকট? রয়্যাল স্যোসাইটির ওই বৈঠকের সহ-আহ্বায়ক অ্যান্ড্রূ এলিসকে উদ্ধৃত করে ডেইলি মেল পত্রিকায় বলা হয়েছে, ‘ইন্টারনেটের ব্যবহার যে দ্রুততায় বাড়ছে তাতে আগামী আট বছরের মধ্যে নেট সংযোগের সমস্ত ক্ষমতাই নিঃশেষ হয়ে যাবে এখনকার সমস্ত কেব্ল, ফাইবার অপটিকসের৷ ফলে, আমরা এমন একটা অবস্থায় পৌঁছাব যখন একটি অপটিক্যাল ফাইবারও অবশিষ্ট থাকবে না যার মাধ্যমে অতিরিক্ত ডেটা পাঠানো সম্ভব৷’
এলিস জানান, ‘ইন্টারনেট সংযোগ এবং ব্যবহারের চাহিদা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে৷ বিগত বহু বছর ধরে টেলিকম সংস্থাগুলি এই চাহিদা ভালোভাবেই মিটিয়ে এসেছে৷ কিন্তু, আমরা এমন একটা পরিস্থিতিতে পৌঁছতে চলেছি যখন এই চাহিদা মেটানো সংস্থাগুলির পক্ষে আর সম্ভবপর হবে না৷’ ‘বর্তমানে যে হারে বৃটেনে ইন্টারনেট ব্যবহার হয়, তাতে আগামী ২০ বছরে ব্রিটেনে মোট বিদ্যুতের জোগান খরচ হয়ে যাবে শুধু ইন্টারনেট সংযোগের জন্য,’ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন বলে ডেইল মেল লিখেছে৷
ইন্টারনেট টেলিভিশন, স্ট্রিমিং ভিডিও, উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমপিউটারের ব্যবহার যত বাড়ছে, দূরসংযোগের পরিকাঠামোর উপর চাপও তত বাড়ছে৷ টেলিকম সংস্থাগুলি অবশ্যই অতিরিক্ত কেব্ল বিছিয়ে এই অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে পারে৷ কিন্তু, তার ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচও বাড়াবে৷ বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, গ্রাহকদের হয় দ্বিগুণ খরচ দিতে হবে নতুবা তাদের এমন পরিষেবায় খুশি থাকতে হবে যেখানে বারবার ইন্টারনেট সংযোগ চলে যায়৷
২০০৫ সালে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ সংযোগ স্পিড ছিল ২ মেগাবিটস প্রতি সেকেন্ড৷ বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশেই ১০০ মেগাবিটস প্রতি সেকেন্ড স্পিডে ইন্টারনেট থেকে কোনো কিছু ডাউনলোড করা সম্ভব৷