গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মা ও ৬ মাস বয়সী শিশুর মৃত্যু

SHARE

গাজার জাবালিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় মা ও তার ৬ মাস বয়সী ছেলে নিহত হয়েছেন। গাজায় তাদের অবিরাম বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। আজ ভোর থেকে কমপক্ষে ১১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচ শিশুও রয়েছে, যাদের মধ্যে ছয় মাস বয়সী সেই শিশুটিও রয়েছে।

এদিকে গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এলাকাটি দ্রুত খালি না করলে হামলা করা হবে বলেও ‘চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি’ দিয়েছে দখলদার বাহিনী।

ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র আভিখাই আদরায়ে সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, জাবালিয়া এলাকায় বসবাসকারী গাজার সব নাগরিকের জন্য হামলার আগের চূড়ান্ত সতর্কবার্তা এটি। তিনি ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণের ‘পরিচিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে’ চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৫ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে প্রায় ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে অন্তত ৪০০ জন নারী ও শিশু।

এদিকে গাজায় দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি বৃদ্ধির বিষয়ে অক্সফাম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দাতব্য সংস্থাটি ইসরায়েলের প্রতি যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুনর্বহাল এবং গাজার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

তারা বলেছে, ফিলিস্তিনে নাগরিকদের জন্য দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। খাদ্য নিরাপত্তা ও জীবিকা নির্বাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো ঝুঁকিতে রয়েছে। সেইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পানি সরবরাহের অবকাঠামোর প্রয়োজনীয় মেরামতের কাজ ইসরায়েলের নতুন করে সামরিক আক্রমণের করণে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

ফিলিস্তিনের জন্য অক্সফামের নীতি প্রধান বুশরা খালিদী বলেন, ‘গত ৫৩৫ দিন ধরে ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে জীবন রক্ষাকারী সাহায্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে গাজার জনগণকে শাস্তি দিচ্ছে। খাদ্য, পানি, জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত করা একটি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকেই তাদের নীরবতা, নিষ্ক্রিয়তা এবং সহযোগিতার মাধ্যমে এটিকে সম্ভব করে তুলছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

সূত্র : আলজাজিরা