এ বছর অস্কারজয়ী তথ্যচিত্র ‘নো আদার ল্যান্ড’-এর সহ-নির্মাতা হামদান বল্লালকে আটক করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। গত সোমবার (২৪ মার্চ) ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের সুসিয়া গ্রামের সশস্ত্র বসতি স্থাপনকারী দখলদাররা হামদান বল্লালকে আক্রমণ করে এবং একপর্যায়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়। তবে আটকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মুক্তি দেওয়া হয় এ নির্মাতাকে।
গতকাল মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ওই তথ্যচিত্রের আরেক সহপরিচালক জুবাল আব্রাহাম লিখেছেন, ‘সারা রাত হাতকড়া পরিয়ে সামরিক ঘাঁটিতে মারধরের পর অবশেষে হামদান বল্লালকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
তিনি নিজ বাড়িতে পরিবারের কাছে ফিরে যাবেন।’
সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, তাদের সাংবাদিকরাও বল্লাল ও আরো দুই ফিলিস্তিনিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি বসতি কিরিয়াত আরবাতের পুলিশ স্টেশন থেকে বেরিয়ে আসতে দেখেছেন।
মুক্তির পর বল্লাল এপি-কে জানান, তাকে একটি সেনাঘাঁটিতে আটকে রাখা হয়েছিল এবং একটি বরফশীতল এসির নিচে ঘুমাতে বাধ্য করা হয়েছিল। তিনি এপিকে আরো বলেন, ‘২৪ ঘণ্টা আমার চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল।
সারা রাত আমি ঠাণ্ডায় কাঁপছিলাম। একটা ঘরে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। আমাকে নিয়ে সেনাদের হাসাহাসি করতে শুনেছি।
’
হামদান বল্লালসহ ওই তিন ব্যক্তির আইনজীবী লিয়া সেমেল বলেছেন, আক্রমণের শিকার হওয়ার পর তাদের যৎসামান্য চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছিল। গ্রেপ্তারের পর কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত ওই আইনজীবীকে তাঁদের কাছে যেতে দেওয়া হয়নি। তিনি এর আগে বলেছিলেন, ওই তিনজনের বিরুদ্ধে এক তরুণ বসতি স্থাপনকারীর ওপর পাথর ছুড়ে মারার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে তারা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ৯৭তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে (অস্কার) সেরা তথ্যচিত্র বিভাগে জয়ী হয় ‘নো আদার ল্যান্ড’।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের মাসাফের ইয়াত্তার ধ্বংসের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে তাতে। গাজায় চলমান ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে চারজন ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলি আন্দোলনকর্মী ওই তথ্যচিত্রটি বানিয়েছেন। তাঁদেরই একজন হামদান।