৭১ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে বার্সেলোনা। সেখান থেকে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর নতুন এক গল্প লিখেছেন লামিনে ইয়ামাল-ফেরান তরেসরা। ৭২ মিনিটে লভানদোস্কি ব্যবধান কমানোর ৬ মিনিট পর ফেরান তরেসের গোলে সমতা। আর যোগ করা সময়ে আরো দুই গোল করে অবিশ্বাস্য এক জয় তুলে নিল হান্সি ফ্লিকের দল।
অ্যাতলেতিকোর মাঠ ওয়ান্দা মেত্রোপলিটানোয় ৪-২ ব্যবধানে জিতেছে বার্সেলোনা। জোড়া গোল করেন ফেরান তরেস, একটি করে গোল লেভানদোস্কি ও ইয়ামালের। এ জয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে বার্সা।
হুলিয়ান আলভারেজের গোলে প্রথমার্ধের শেষ দিকে পিছিয়ে পড়ে বার্সা।
৭০ মিনিটে আবারও বার্সার জালে বল পাঠান আলেকজান্দার সরলোথ। ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে পরাজয় যখন চোখ রাঙাচ্ছিল বার্সার দিকে, তখনই ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। ৭২ থেকে ৭৮—ছয় মিনিটের মধ্যে শোধ করল দুই গোল। ৭২তম মিনিটে চমৎকার গোলে ব্যবধান কমান লেভানদোস্কি।
৭৮তম মিনিটে স্কোরলাইন ২-২ করেন বদলি নামা স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড তরেস। আর যোগ করা সময়ে আরো দুই গোলে বার্সা লেখে ঘুরে দাঁড়ানোর নতুন এক গল্প। এই রূপকথার গল্প লেখার কৃতিত্বটা দিতে হবে ইয়ামাল ও তরেসকে। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে বার্সেলোনাকে উল্লাসে ভাসান ইয়ামাল। আর যোগ করা সময়ের অষ্টম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তরেস।
এই মৌসুমে অ্যাতলেতিকোর বিপক্ষে আগের দুবারের দেখায় ঘরের মাঠে জিততে ব্যর্থ হয়েছিল বার্সেলোনা। তৃতীয় দেখায় এবার জয় তুলে নিল ফ্লিকের দল।
দুর্দান্ত এই জয়ের পর ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ ফ্লিক বলেন, ‘আমরা যেভাবে খেলেছি, আমাদের আত্মবিশ্বাস যেমনটা ছিল সেটা সত্যিই দেখার মতো ছিল। আমরা ট্রফি জেতার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।