চিত্রনায়িকা হ্যাপির করা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে অব্যাহতির চুড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল রিপোর্ট) আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর হাকিম আতাউল হক সোমবার চুড়ান্ত অভিযোগপত্রটি স্বাক্ষর করে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) বরাবর পাঠান।
মামলার বাদী নাজনীন আক্তার হ্যাপী চুড়ান্ত প্রতিবেদনের উপর নারাজি না দিলে আদালত রুবেলকে মামলার দায় হতে অব্যাহতি দিবেন।
২০১৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর নাজনীন আক্তার হ্যাপী মিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ করেন- ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের সঙ্গে গত ১০ মাস আগে তার প্রেমের সম্পর্ক হয় এবং বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে গত ৮ মাস আগে থেকে রুবেলের বাসায় হ্যাপীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দৈহিক সম্পক স্থাপন হয়। পরবর্তীতে হ্যাপি বিয়ের কথা বললে টালবাহানা করতে থাকেন রুবেল।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায় হ্যাপীকে তার বাসায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।
২০১৫ সালের ২৯ মার্চ ঢাকা মোট্রোপলিটন পুলিশের উইমেন সাপোর্ট এ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক হালিমা খাতুন আসামি রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালতের মিরপুরের জিআর শাখায় মামলার দায় হতে অব্যাহতি দানের চুড়ান্ত প্রতিবেদনটি দাখিল করেন।
চুড়ান্ত প্রতিবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, নাজনীন আক্তার হ্যাপী প্রাপ্তবয়স্ক, মিড়িয়াতে কাজ করা একজন সচেতন অধুনিক ব্যক্তি।
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়া তিনি যদি রুবেলের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে থাকেন, তাহলে সেটা তার সম্মতিসহ হয়ে থাকতে পারে। ধর্ষণের সংজ্ঞানুযায়ী বিবাহের প্রলোভন দিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে তার কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্তে রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হয়নি। তাই এ মামলার দায় হতে তাকে অব্যহতি দানের প্রার্থনা জানাইলাম বলে উল্লেখ্য করেন।