প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের ঘোষণা দিলেন হিলারি

SHARE

Hillary Rodham Clinton Signs Copies Of Her Memoir "Hard Choices"অবশেষে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন হিলারি ক্লিনটন। বাংলাদেশ সময় সোমবার মধ্যরাতে একটি মেইলের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন তিনি।

সমর্থকদের কাছে ই-মেইলে এ ঘোষণা দেন বলে হিলারির নির্বাচনী প্রচার শিবিরের চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টা জন ডি পোডেস্টার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এর আগে হিলারি তার প্রচারাভিযানের জন্য একটি ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব পেজও খোলেন এবং সেখানে তিনি প্রথম নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার ইচ্ছার কথা জানান।

হিলারি তার ওয়েবসাইটে দেয়া একটি ভিডিওতে বলেন, “আমি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়ছি।” তিনি আরো বলেন, “মার্কিনিদের প্রতিদিনই একজন চ্যাম্পিয়ান দরকার এবং আমি সেই চ্যাম্পিয়ান হতে চাই।”

অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০০৮ এর পর দ্বিতীয়বারের মতো হিলারি ২০১৬-তে আবার লড়ছেন প্রেসিডেন্ট পদে।

এবারের নির্বাচন হিলারির জন্য ২০০৮এর চেয়ে সহজ হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা, যেখানে বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা থাকছেন না লড়াইয়ে। আগেরবার ওবামার কাছেই হার স্বীকার করতে হয়েছিল হিলারিকে। আর এবার যদি প্রত্যাশিতভাবে হিলারিই নির্বাচিত হন, তবে মার্কিন ইতিহাসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হবেন তিনিই।

১৯৯১ এ স্বামী বিল ক্লিনটনের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের সময় থেকেই হিলারি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন। তিনিই মার্কিন ইতিহাসের একমাত্র ফার্স্টলেডি যিনি সিনেট সদস্য হিসেবে মনোনীত হন। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরে কাজ করা এই প্রাজ্ঞ কূটনীতিক তাকে হারিয়ে দেওয়া প্রেসিডেন্টের অধীনেই দলের হয়ে কাজ করার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।

৬৭ বছর বয়সী হিলারি এবার দ্বিতীয় এবং সম্ভবত শেষবারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন এই বিশ্বব্যাপি জনপ্রিয়তা নিয়েই। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে তার রয়েছে উল্লেখযোগ্য গ্রহণযোগ্যতা।

হিলারির নির্বাচনী প্রচারণা ছোট পরিসরে শুরু হলেও শেষপর্যন্ত তা ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ডেমোক্রেট সমর্থকদের কাছ থেকে সাগ্রহেই অনুদান হিসেবে আসবে বলে ভাবা হচ্ছে।

আশা করা হচ্ছে আইওয়া ও নিউ হ্যাম্পশায়ারে ছোট কিন্তু অন্তরঙ্গ কিছু সমাবেশের মধ্য দিয়ে আজ নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন হিলারি। তার নির্বাচনী ইশতেহারে এবার গুরুত্ব পাবে মধ্যবিত্তের জীবনমান উন্নয়নের এজেন্ডা। বিশেষ করে তাদের বেতন বৃদ্ধি এবং আয়-বৈষম্য কমিয়ে আনায় জোর দেবেন হিলারি।