শিরিকে ফেরত না দেওয়ায় হামাসকে এর খেসারত দিতে হবে : নেতানিয়াহু

SHARE

চুক্তি অনুযায়ী জিম্মি শিরি বিবাসের মৃতদেহ ফিরিয়ে দিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য হামাসকে এর খেসারত দিতে হবে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা শিরিকে এবং আমাদের জীবিত ও মৃত সব জিম্মিকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞতার সঙ্গে কাজ করব। চুক্তির এই নিষ্ঠুর ও জঘন্য লঙ্ঘনের জন্য হামাসকে সম্পূর্ণ মূল্য দিতে হবে, তা-ও নিশ্চিত করব।

ইসরায়েলি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বৃহস্পতিবার হামাস কর্তৃক হস্তান্তরিত চারটি মৃতদেহের মধ্যে একজন অজ্ঞাত নারী আছেন। তিনি শিরি বিবাস নন। শিরি (৩৩) এবং তার দুই ছেলে আরিয়েল (৫) ও কেফির(২) ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহত হয়েছিল বলে হামাস জানিয়েছে।

গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে গতকাল বৃহস্পতিবার ওই দুই শিশু কেফির ও অ্যারিয়েল, তাদের মা শিরি বিবাস এবং ওদেদ লিফশিতজ নামের মোট চারজনের মরদেহ রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে হামাস।
তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গাজা থেকে ইসরায়েলে ফেরত পাঠানো চারটি মৃতদেহের মধ্যে শিশুদের মা শিরি বিবাস নেই, অর্থাৎ শিশুদের মা বলে যে নারীর লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে, সেটি আসলে শিরি বিবাসের লাশ নয়।

নেতানিয়াহু অভিযোগ করেছেন, ‘হামাস নিন্দনীয় আচরণ করে গাজার এক নারীর মৃতদেহ কফিনে রেখেছিল। তিনি শিরি বিবাস নন। শিরি, তার দুই ছেলে এবং তার স্বামী ইয়ার্ডেনকে ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণের সময় অপহরণ করা হয়েছিল।

ইসরায়েলি অভিযোগের বিষয়ে হামাস এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি। এর ফলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হুমকির মুখে পড়েছে। তবে আগামী শনিবার মুক্তি পাওয়ার জন্য নির্ধারিত ছয় জীবিত জিম্মির হস্তান্তর বিলম্বিত হবে, নাকি আটকে যাবে অথবা আগামী দিনে প্রত্যাশিত যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরুতে ব্যাঘাত ঘটাবে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।

সূত্র : রয়টার্স