অপারেশন ডেভিল হান্ট : ৪ দিনে গ্রেপ্তার প্রায় তিন হাজার

SHARE

যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান অপারেশন ডেভিল হান্টে চার দিনে ২ হাজার ৮৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশেষ অভিযান শুরুর পর শনিবার রাত থেকে আজ বিকেল পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অপারেশন ডেভিল হান্টের বিশেষ অভিযানে প্রথম দিনে সারা দেশে এক হাজার ৩০৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত অনেকের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র।
গ্রেপ্তারকৃতদের বেশির ভাগ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এ ছাড়া গ্রেপ্তারের তালিকায় রয়েছে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ।

দ্বিতীয় দিনে আরো ৩৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন, ১১টি গুলিসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
একই সময়ে বিশেষ অভিযানের বাইরে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ১ হাজার ১৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান তৃতীয় দিন ৬০৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিশেষ অভিযানে ২টি পিস্তল, ১টি এলজি, ১টি ওয়ান শুটারগান, ১টি পাইপগান, ২টি গুলিসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অপারেশন ডেভিল হান্ট ছাড়াও বিভিন্ন মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানের আওতায় ৫৯১ জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর অন্যান্য মামলা ও ওয়ারেন্টের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক হাজার ৬৮৬ জনকে।

এ সময় একটি বিদেশি পিস্তল, একটি চায়না রাইফেল (পুলিশ থেকে লুট করা), দুটি এলজি, চারটি ওয়ান শুটারগান, একটি ম্যাগাজিন, তিন রাউন্ড গুলি, ১৭ রাউন্ড কার্তুজ, ২০টি ককটেল, ছয়টি ছুরি, একটি তলোয়ার, একটি হাতুড়ি, একটি গুটি রেঞ্জ, একটি প্লায়ার্স, একটি সেলাই রেঞ্জ, দুটি লোহার পাইপ, একটি কাটার ও তিনটি কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যৌথ বাহিনী দেশজুড়ে অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু করেছে। গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে এক সভায় এই অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়।

তার আগে শুক্রবার রাতে গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের মারধরের শিকার হন ১৫-১৬ জন শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলছেন, শিক্ষার্থীরা ওই রাতে ডাকাতির খবর পেয়ে তা প্রতিহত করতে সেখানে গিয়েছিলেন। তখন তাদের মারধর করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।