যশোরে কৃষক লীগের এক নেতা এবং এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুজনেরই হাঁটুতে ক্ষত।
আহতদের দাবি, আটক করার পর পুলিশ তাদের ব্যাপক নির্যাতনের পর হাঁটুতে বেয়নেট জাতীয় কিছু ঢুকিয়ে দিয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, গণধোলাইয়ে আহত ওই দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আফরুজ্জামান যশোর জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক বলে পরিচয় দেন। হাসান আওয়ামী লীগ কর্মী এবং ব্যবসায়ী।
আহত হাসান বলেন, ‘বুধবার সকাল ৬টার দিকে কোতয়ালী থানার এসআই জামাল আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে থানায় আনেন। পরে আমাকে ডিবির হেফাজতে দেয়া হয়। ডিবি অফিসে আমাকে ইলেকট্রিক শক দেয়া হয়। আর জানতে চাওয়া হয়, মঙ্গলবার গুলিতে নিহত আওয়ামী লীগ কর্মী মঞ্জুর রশিদের খুনি কারা? আমি কোনো স্বীকারোক্তি না দেয়ায় রাতে চোখ বেঁধে আমার বাম পায়ের হাঁটুতে বেয়নেট জাতীয় ধারালো কিছু ঢুকিয়ে দেয়া হয়। রক্তক্ষরণ শুরু হলে পুলিশ প্রহরায় আমাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
আফরুজ্জামান আফরুও পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের একই বর্ণনা দেন। তিনি জানান, চাঁদপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ কনস্টেবল বখতিয়ার বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে আটক করে ডিবি হেফাজতে দেয়। সেখানে ব্যাপক নির্যাতনের একপর্যায়ে তার পায়ের বাম হাঁটুতে বেয়নেট জাতীয় কিছু একটা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
তবে হাসপাতালে অবস্থানরত কোতয়ালী থানার এসআই তৌহিদুল ইসলাম আহত দুজনের দাবি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “ওই দুই ব্যক্তি এলাকাবাসীর মারপিটে গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।”
হামিদপুরের আওয়ামী লীগ কর্মী মঞ্জুর রশিদকে দুর্বৃত্তরা শহরের রবীন্দ্রনাথ সড়কে মঙ্গলবার দুপুরে গুলি করে হত্যা করে। মঞ্জুর হত্যাকারীদের ধরতে এলাকায় পুলিশি অভিযান চলছে।
ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, “আমরা ওই নামে কাউকে আটক করিনি। ফলে নির্যাতনের প্রশ্নই ওঠে না।”