নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতের নতুন সরকারের সঙ্গেও বাংলাদেশের সুসম্পর্ক থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার সকালে জাপানের টোকিওতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারত তাদের নিজস্ব পররাষ্ট্রনীতির ওপর ভিত্তি করে চলে। পার্শবর্তী দুই দেশের সম্পর্ক সবসময় পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে, বন্ধত্বপূর্ণভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের পাঁচটি সরকারের সঙ্গে অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণভাবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বজায় রেখেছে। সেক্ষেত্রে নতুন সরকারের সঙ্গেও বাংলাদেশের সম্পর্ক অতীতে মতোই অটুট থাকবে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষেদে জাপানের পক্ষে বাংলাদেশ সমর্থন দেবে কি না তা উভয় দেশের উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার মাধ্যমেই ঠিক করা হবে।”
এদিকে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের শীর্ষ বৈঠকে দুই বন্ধু প্রতিম দেশের সম্পর্ক ও যোগাযোগ সহযোগিতার পর্যায় থেকে অংশীদারিত্বে পরিণত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সোমবার টোকিওতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই নেতার শীর্ষ বৈঠকের পর মঙ্গলবার ঢাকা ও টোকিও থেকে যৌথ ইশতেহার প্রকাশিত হয়।
শেখ হাসিনা ও শিনজো আবে স্বাক্ষরিত এই ইশতেহারে বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, আঞ্চলিক সমৃদ্ধি অর্জন এবং সাংস্কৃতিক ও জনগণের মধ্যকার যোগাযোগ বৃদ্ধিতে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অনায়াসে ব্যবসা করার জন্য জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি কার্যকর টাস্কফোর্স গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। মঙ্গলবার জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেটরো)’র সদর দফতরে আয়োজিত বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসার সুযোগ-সুবিধা বিষয়ক এক সেমিনারে ভাষণকালে তিনি এ ঘোষণা দেন।
চার দিনের সফর শেষে বুধবার জাপান সময় রাত ১১টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সূত্র: আইআরআইবি