জিয়াউর রহমানই সর্বপ্রথম রাষ্ট্রপতি ও সর্বাধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা সিটির সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা।
তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতির প্রয়োজনে দ্বিতীয় দফা ঘোষণায় জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন।
রোববার যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যেও ডেট্রয়েট সিটিতে মিশিগান বিএনপি আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
মিশিগান বিএনপির সভাপতি দেওয়ান আকমল চৌধুরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. ওসমান ফারুক, বিশিষ্ট সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শরাফত হোসেন বাবু, শিকাগো জিয়াউর রহমান ওয়ের উদ্যোক্তা শাহ মোজাম্মেল, মিশিগান বিএনপির সেক্রেটারি সেলিম আহম্মেদ, মিশিগান বিএনপির উপদেষ্টা ফখরুল ইসলাম লয়েস, শাহাদাত হোসেন মিন্টু, মঞ্জুরুল করিম তুহিন।
স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে আওয়ামী লীগ আষাঢ়ে গল্প জাতির সামনে উপস্থাপন করছে দাবি করে সাদেক হোসেন খোকা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ যে পাকিস্তান ভাঙার কোনো ঘোষণা ছিল না তা তার বক্তব্য বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যায়।
কারণ বঙ্গবন্ধু ৮ মার্চ থেকে হরতাল ডেকেছিলেন এবং আলোচনা অব্যাহত রেখেছিলেন। ৭ মার্চের ভাষন শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জয় বাংলার পর জয় পাকিস্তান বলে বক্তব্য শেষ করেছেন বলেও দাবি করেন সাদেক হোসেন খোকা।
চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে সাদেক হোসেন খোকা বলেন, জনগণের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্যই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু আজকে সরকার প্রায় ২০৯টি আসনে নির্বাচন ছাড়াই সংসদ সদস্য নির্বাচন করেছে। সুতরাং ভোটের অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়া না পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
বিশেষ অতিথির আলোচনায় ড.ওসমান ফারুক বলেন, যে প্রশাসন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে হত্যা করে ও পঙ্গু করে দেয়, তাদের চেয়ে বড় সন্ত্রাসী পৃথিবীতে আর কেউ হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রশাসনের সবাইকে সন্ত্রাসী বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বর্তমান আন্দোলনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণতন্ত্র রক্ষা, বাক স্বাধীনতার অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সর্বোপরি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ২০ দলীয় জোট আন্দোলন করে যাচ্ছে। আজকে যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করছে, বাকস্বাধীনতা হরণ করছে, আজকে যারা মানবাধিকার ভক্ষণ করছে তাদের দিয়ে কখনো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষা করা যাবে না।
শিকাগোতে জিয়াউর রহমান ডে পালনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. জিয়াউদ্দিন ষড়যন্ত্র করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রমনা। তারা জানেন কিভাবে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন যুবদল নেতা ওয়াসিমুজ্জামান রনি।