ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচি দিলে বিএনপিকে ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি তথ্যমন্ত্রীর

SHARE

বিএনপি ঢাকা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দিলে তাদেরকেই ঘেরাও করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির হাঁক-ডাক হচ্ছে খালি কলসি বেশি বাজার মতো। আজকে অনলাইনে দেখলাম বিএনপি নেতারা বলেছেন যে, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ঘেরাও করে সরকারের পতন ঘটানো হবে। আমরাও প্রস্তুত আছি, আমরা বিএনপিকে ঘেরাও করব। তাদের এবার শিক্ষা দেব। ফখরুল সাহেব বলছেন, ভিসা নীতির কারণে তাদের আন্দোলন নাকি বেগবান হয়েছে। কিন্তু তারা হয়ত ভুলে গেছেন যে, ভিসা নীতির আওতায় বিরোধী দলের নেতারাও আছেন।

তিনি বলেন, দিল্লি ও জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সেলফিই প্রমাণ করে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কতটা ভালো। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে মাথা ঘামাই না। আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। সুতরাং এটা নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। এটা তাদের নীতি, তারা কাকে ভিসা দেবে আর কাকে দেবে না সেটি তাদের ব্যাপার। নাইজেরিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি দিয়ে কিছু করতে পারেনি। এমনকি তাদের সরকারেরও পতন ঘটাতে পারেনি। সুতরাং আমাদের চিন্তার কিছু নেই।

বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর তারা বলেছিল যে, এই সরকার নাকি তিন মাসও টিকবে না। অথচ এই সরকারের আমলেই তাদের নেতা খালেদা জিয়ার দুর্নীতির বিচার হয়েছে। তিনি সাজাও ভোগ করছেন। তাই নির্বাচন ঠেকানোর ষড়যন্ত্র করে সরকারের পতন ঘটানো যাবে না। আওয়ামী লীগ রাজপথের দল এবং লড়াই সংগ্রামের দল। শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষের মর্যাদা বাড়িয়েছেন।

বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিকে বলব আপনারা নির্বাচনে আসুন। যদি নির্বাচনে না আসেন তবুও আপনাদের নেতারা নির্বাচনে আসবে। এমনকি নির্বাচনের আগেই আপনাদের অনেক নেতা দল বদল করে ফেলেছে। সুতরাং ষড়যন্ত্র না করে নির্বাচনে আসুন।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের রাজপথে থাকতে হবে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম), শাজাহান খান, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সংসদ সদস্য হাবিব হাসান এবং ইলিয়াস আলী মোল্লা, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খাঁন নিখিল ও সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি গাজী মেসবাউল হোসেন সাচ্চু।