ভারতের সৌর অভিযানের কাউন্টডাউন শুরু, যাত্রা ২ সেপ্টেম্বর

SHARE

ভারতের সৌর অভিযান ‘আদিত্য-এল১’ যাত্রা শুরু করবে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে। ইতোমধ্যে উৎক্ষেপণ উপলক্ষে শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রধান এস সোমানাথ জানিয়েছেন উৎক্ষেপণের জন্য ‘রকেট, স্যাটেলাইট প্রস্তুত’। ভারতের প্রথম সৌর মিশন ২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটা মহাকাশ স্টেশন থেকে উৎক্ষেপণের কথা রয়েছে। ইসরো সফল চন্দ্র জয়ের জন্য যখন উষ্ণ অভিনন্দনে ভাসছেন তখনই সূর্য নিয়ে আরও গভীরভাবে গবেষণার লক্ষে অভিযান সম্পন্ন প্রস্তুত রয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
সফল চন্দ্রাভিযানের একদিন পরই ২৪ আগস্ট সৌর অভিযানের চূড়ান্ত দিনক্ষণ প্রকাশ করেন ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। আগামীকাল ২ সেপ্টেম্বর সূর্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে ‘আদিত্য-এল১’ নামের মহাকাশযান।

‘আদিত্য-এল১’ অভিযানের পরিচালক নিলেশ এম দেশাই জানিয়েছেন, ‘আদিত্য-এল১’ সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং মিশন শুরুর অপেক্ষায় রয়েছি আমরা। ‘আদিত্য-এল১’ যানটি ইসরোর পিএসএলভি রকেট দিয়ে উৎক্ষেপণ করা হবে। এর যাত্রা শুরু হবে শ্রীহারিকতার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার (শার) থেকে। তিনি বলেন, গন্তব্য স্থানে পৌঁছাতে এর সময় লাগবে ১২৭ দিন। যা পৃথিবী থেকে ১৫ লাখ কিলোমিটার দূরে। সেখান থেকে সূর্যের ওপর আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণ চালানো যাবে।
ইসরোর বাঙালি বিজ্ঞানী শুভ্রদীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘সূর্যের গ্যাসীয় পৃষ্ঠে তো নামা সম্ভব নয়, তবে আদিত্য-এল১ নামের যে উপগ্রহ এই মিশনে পাঠানো হবে সেটি যাবে একটি নির্দিষ্ট স্থান পর্যন্ত। ল্যাগরেঞ্জিয়ান পয়েন্ট-১ বলে একটি অঞ্চল পর্যন্ত পাঠানো হবে। ওই অঞ্চলে পৃথিবী এবং সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাজ করে না। ওই জায়গায় উপগ্রহ পৌঁছে গেলে আজীবন থেকে যেতে পারবে। সেই চেষ্টাই করছে ইসরো। ২ অথবা ৩ সেপ্টেম্বর উপগ্রহটি যাত্রা করবে।` পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ ছেড়ে চাঁদের কক্ষপথে চন্দ্রযান-৩-কে পাঠানোর দায়িত্ব ছিল শুভ্রদীপের উপর। তিনি নিউ গাড়িয়ার পঞ্চসায়ারের বাসিন্দা।
চন্দ্রযান-৩ এর অভিযান এখনও চলছে। চাঁদের মাটিতে সফলভাবে চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রমকে অবতরণ করিয়ে ইসরোর বিজ্ঞানীরা এখনও উল্লাসের ঢেউয়ে ভাসছেন। আনন্দে ভাসিয়েছেন দেশটির ১৪০ কোটি মানুষকে। চতুর্থ দেশ হিসেবে ভারত তার নাম লিখিয়েছে চন্দ্রাভিযানের সফল দেশের তালিকায়। আর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম দেশ হিসেবে অনন্য কৃতিত্ব এখন শুধুই দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির।