রোববার রাতে রংপুর সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ পরবর্তী সহিংসতায় লোকমান হোসেন (৫২) নামের এক ব্যক্তি নিহত ও ৩০ জন আহতের ঘটনায় ১২০০ গ্রামবাসীর নামে মামলা করেছে। কোতয়ালী থানার এএসআই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।
সোমবার কোতয়ালী থানার এএসআই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে পালিচড়া এলাকার এই মামলা করেন। মামলায় পুলিশের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেয়া এবং হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও ভোট গণনার সময় সদ্যপুষ্করনী ইউনিয়নে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সন্ধা সাড়ে ৭টায় সদ্যপুস্করণী ইউনিয়নের পালিচড়া একরামিয়া ও খান চৌধুরী দাখিল মাদরাসা কেন্দ্র থেকে ভোটের ফলাফল না দিয়েই ব্যালট বাক্স গাড়িতে তুলতে গেলে তাতে এলাকাবাসী বাধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে।
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী জানান, ওই কেন্দ্র থেকে ভোট গণনার পর ব্যালট বাক্স নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলে তাতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজন বাধা দেয় ও হামলা চালায়। এ সময় তাদের হামলায় ম্যাজিস্ট্রেট মিন্টুদাসসহ চার পুলিশ আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে এবং সরকারি সম্পদ রক্ষা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ দোষীদের গ্রেফতারে সাড়াশি অভিযান শুরু করেছে।