গ্রিসে দাবানল নিয়ন্ত্রণে লড়াই চলছেই

SHARE

গ্রিসে তিনটি বড় দাবানল জ্বলছে। এর মধ্যে দুটি কয়েক দিন ধরে জ্বলছে। দাবানল নিয়ন্ত্রণে, ৬ শতাধিক অগ্নিনির্বাপককর্মী, বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ থেকে আনা পানি ছিটানো বিমান এবং হেলিকপ্টারের একটি বহর লড়াই করে যাচ্ছে।
দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চল ইভরোস এবং আলেকজান্দ্রোপলিসে একটি বিশাল দাবানল গত নয় দিন ধরে জ্বলছে। এতে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডটি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি দেশকে আঘাত করা সবচেয়ে বড় একক দাবানলের মধ্যে একটি। দাবানলে, আলেকজান্দ্রোপলিস শহরের দূরবর্তী অঞ্চলে বনের বিস্তীর্ণ অংশ এবং ঘরবাড়ি পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। ফায়ার বিভাগ জানিয়েছে, রবিবার, ২৯৫ জন দমকলকর্মী, সাতটি বিমান এবং পাঁচটি হেলিকপ্টার দাবানল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস রবিবার জানিয়েছে, দাবানলে ৭৭ হাজার হেক্টর (৭৭০ বর্গ কিলোমিটার) জমি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এবং ১২০টি স্থানে এখনো আগুন জ্বলছে।
গ্রিসের সবচেয়ে বড় দুটি অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো নির্ধারণ করা যায়নি। তবে, কর্মকর্তারা বলেছেন, কিছু ছোট অগ্নিকাণ্ডের জন্য, ইচ্ছাকৃতভাবে অগ্নিসংযোগ এবং অবহেলার অভিযোগে সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইচ্ছাকৃতভাবে দাবানল ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এবং শুকনো ঘাস ও গাছপালাগুলোয় আগুন দেওয়ার অভিযোগে, শনিবার দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে দমকল বিভাগের আধিকারিকরা। তাদের মধ্যে একজনকে ইভিয়া দ্বীপে এবং অপরজনকে লারিসার মধ্য গ্রিক অঞ্চল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দাবানল প্রতিরোধ নানারকম বিধিনিষেধ আরোপ করে গ্রীস। সাধারণত মে মাসের শুরু থেকে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত, শুকনো গাছপালা পোড়ানো এবং বারবিকিউ করার মতো কার্যক্রম সীমিত করতে এসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
অগ্নি প্রতিরোধ মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত, অগ্নি-সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগে ১৬৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দমকল বিভাগের কর্মকর্তারা। সরকারের মুখপাত্র পাভলোস মারিনাকিস বলেছেন, এদের মধ্যে, অবহেলার জন্য ১১৮ জনকে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে অগ্নিসংযোগের জন্য ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, এছাড়া আরও ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
খবর ভয়েস অব আমেরিকা