বিশ্বকাপ জিততে অস্ট্রেলিয়ার চাই ১৮৪ রান

SHARE

final1টুর্নামেন্ট জুড়ে বয়ে চলা ব্যাটিং ছন্দটা ফাইনালেই হারিয়ে বসলো নিউজিল্যান্ড। ব্যাট হাতে ধুঁকতে থাকা নিউজিল্যান্ডকেই দেখা গেল এদিন। বিশ্বকাপ ফাইনাল তাই রঙ হারালো প্রথম ইনিংসেই। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং তোপে রোববার মেলবোর্নে প্রথমে ব্যাট করে ৪৫ ওভারে ১৮৩ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। পঞ্চমবার বিশ্বকাপ জিততে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ১৮৪ রান।

ইনিংসের শুরুতে কিউইদের ধাক্কাটা দিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। ব্যাট হাতে কিউইদের তুরুপের তাস ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে (০) বোল্ড করেন স্টার্ক। গাপটিল বোল্ড হন ম্যাক্সওয়েলের (১৫) নীরিহ স্পিনে। জনসনের বলে কট এন্ড বোল্ড হন কিউইদের ব্যাটিংয়ের মূল স্তম্ভ কেন উইলিয়ামসন (১২)। ৩৯ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বসা কিউইদের ত্রাতা হয়েছে রস টেলর ও  গ্র্যান্ট এলিয়টের চতুর্থ উইকেট জুটি। অভিজ্ঞ টেলর ব্যাট হাতে স্বাবলীল হতে না পারলেও এলিয়ট করেছেন সহজাত ব্যাটিং। সেমিতে কিউইদের জয়ের নায়ক এলিয়ট তুলে নেন নবম হাফ সেঞ্চুরি।

তাদের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নই দেখেছিল ব্ল্যাক ক্যাপসরা। কিন্তু ব্যাটিং পাওয়ার প্লে’তে এসে এলোমেলো হয়ে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে আগের ভিতটাও হারিয়ে ফেলে তারা। টেলর-এলিয়টের জুটি  বিচ্ছিন্ন হয় ১১১ রান যোগ করে। পাওয়ার প্লে’র প্রথম ওভারে তিন বলে টেলর, কোরি অ্যান্ডারসনকে ফেরান ফকনার। টেলর ৪০ রান করে হ্যাডিনের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরে যান। রানের খাতা খোলার আগেই বোল্ড হন কোরি অ্যান্ডারসন। পরের ওভারে স্টার্ক ফেরান রনকিকে (০)।

একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ধ্বংসযজ্ঞ দেখা এলিয়ট ছিলেন কিউইদের শেষ ভরসা। দলীয় ১৭১ রানে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি আউট হন। ৮২ বলে ৮৩ রানের (৭ চার, ১ ছয়) ইনিংস খেলেন এলিয়ট। পরে লোয়ার অর্ডার সমর্থ হয়নি উইকেটে থিতু হতে। সাউদি (১১) রান আউট হলে শেষ হয় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে জনসন-ফকনার ৩টি ও স্টার্ক ২টি করে উইকেট নেন।