সাকিব-তামিমের পারফরম্যান্সে দাপুটে জয় বাংলাদেশের

SHARE

হার দিয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপ শুরু করা বাংলাদেশ এ দল ঘুরে দাঁড়াতে খুব বেশি সময় নেয়নি। দ্বিতীয় ম্যাচেই ব্যাটিংয়ে-বোলিংয়ে দাপট দেখালো টাইগাররা। আগে ব্যাটিং করতে নেমে তানজিম হাসান সাকিবের আগুনে পুড়েছে ওমান এ দল! আর ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন তানজিদ হাসান তামিম। তার হাফ সেঞ্চুরিতে বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৬ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান সংগ্রহ করে ওমান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৭ বলে ২৬ রান করেন আয়ান খান। বাংলাদেশের হয়ে একাই ৪ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব। জবাবে ১৬ ওভার ৩ বলে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। যেখানে ৪৯ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেছেন তামিম।
১২৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও তানজিদ হাসান তামিম। এই দুজনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতেই ৮৬ রান তুলে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া তামিম এই ম্যাচেও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। ২৮ বলে ফিফটি তুলে নেওয়া এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে নিজের নামের পাশে যোগ করেছেন ৪৯ বলে ৬৮ রান।
এরপর তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি সাইফ হাসান। অধিনায়ক ডাক খেয়ে সাজঘরে ফিরলেও বাকিটা পথ জাকির হাসানকে সঙ্গে নিয়ে নিরাপদেই পাড়ি দিয়েছেন নাঈম শেখ। এই ওপেনার ৪৭ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। এই জয়ে সেমি ফাইনালে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশ।
এর আগে ওমানের ইনিংসের শুরু থেকেই ব্যাটারদের চেপে ধরে বাংলাদেশের বোলাররা। মাত্র ৬ রানেই ওপেনার আবদুল রউফকে সাজঘরে পাঠান রিপন মন্ডল। ৩ রান পরই অধিনায়ক আকিব ইলিয়াসকে আউট করেন তানজিদ হাসান সাকিব। রানের খাতাই খুলতে পারেননি ওমান দলপতি। এরপর ৪৫ রানের জুটি গড়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলেন আয়ান খান ও কাশ্যপ প্রজাপতি।
দলীয় রান ৫৪ হতেই সাজঘরে ফিরেন এই দুই ব্যাটার। প্রজাপতি ২২ ও আয়ান ২৬ রান করেন। ষষ্ঠ উইকেটে শুব পল (২৫) ও শোয়েব খান (২৩) খান ৪৫ রানের জুটি গড়েন। তবে তাদের বিদায়ের পর আর কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি। ওমানের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১২৬ রানে। বাংলাদেশের পক্ষে তানজিম হাসান সাকিব ৯ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৮ রান, তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এছাড়া রাকিবুল হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়ের শিকার দুইটি করে উইকেট।