রাজধানীর মিরপুরে শিক্ষিকাকে ধর্ষণ করলো ছাত্র!

SHARE

rape induরাজধানীর মিরপুর থানায় এবার ছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করলেন এক শিক্ষিকা। তার নাম ফারজানা আক্তার (৩২)। আসামি ওই ছাত্রের নাম রিয়াজ হোসেন বাবু (২৬)। মামলা নম্বর ৪৯। বুধবার রাতে মিরপুর থানায় শিক্ষিকা ফারজানা নিজে উপস্থিত হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে তিনি মামলায় অভিযোগ এনেছেন। মিরপুর থানার এসআই আনোয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এই মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে মিরপুর থানার আরেক এসআই আসাদুজ্জামান আসাদকে।
এসআই আসাদুজ্জামান বলেন, ফারজানার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করার পর তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নেওয়া হয় তাকে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ফারজানা শ্যামলীতে অবস্থিত বিআইএফটিডিটি নামক একটি ফ্যাশন ডিজাইনিং প্রতিষ্ঠানে শিক্ষিকা হিসেবে ক্লাস করাতেন। সেখানে বাবু নামের এক ছাত্রের সঙ্গে তার প্রথমে পরিচয় হয়। এরপর কথা বলতে বলতে একসময় সম্পর্ক প্রেমে গড়ায়। এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক শারীরিক সম্পর্কে পরিণত হয়। তার ছাত্র তাকে বিয়ের কথা বলে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কিন্তু ছাত্রটি তাকে বিয়ে না করে টালবাহানা শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত গত কয়েক দিন তাকে খুঁজে না পেয়ে ফারজানা তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। ছেলের বর্তমান ঠিকানা এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে মিরপুর ২ নম্বর জি/১-ব্লকের ৮ নম্বর রোডের একটি বাড়ি। কিন্তু বাবার নাম ও স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি।
মিরপুর থানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এসআই বলেন, ‘ফারজানাকে দেখে মনে হয় তিনি একজন ইয়াবা সেবনকারী। ইয়াবা খেয়ে নেশা করেন। তার কথাবার্তায় এমনটাই মনে হয়। তা না হলে ৩২ বছর বয়সি একজন মেয়েকে কীভাবে ২৬ বছর বয়সি একজন ছেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে! আর তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক কেমন করে গড়ে ওঠে। ওই ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ও শারীরিক সম্পর্ক হলেও সেটা স্বেচ্ছায় হয়েছে। এখন ওই ছেলেকে না পেয়ে হয়তো তিনি মামলা করেছেন।’ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফারজানার বাবা পেশায় একজন প্রকৌশলী। গ্রামের বাড়ি খুলনা জেলার বয়রা উপজেলায়। বর্তমানে তিনি রাজধানীর শ্যামলীতে থাকেন।
এদিকে ঢাকা মেডিক্যালের ফরেনসিক বিভাগে সাংবাদিকদের দেখে ওই শিক্ষিকা অত্যন্ত খারাপ আচরণ করেন। তিনি বলেন, ‘এটা আমার পার্সোনাল ম্যাটার, এটা আমাদের পারিবারিক বিষয়। আমি কোনো সাংবাদিক ফেস করতে চাই না। আর আমি চাইও না এটা মিডিয়ায় আসুক।’ থানায় মামলা করেছেন, পুলিশ ফরেনসিক রিপোর্ট করাতে এনেছে, ওই ছেলের বিচার চাইছেন, কিন্তু আপনি মুখ খুলতে চাইছেন না কেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, আমি কিছুই বলব না।’ এ সময় তিনি  সাংবাদিকদের ধাক্কা মেরে মুখ ঢেকে চলে যান।