ফাইনালে নিউজিল্যান্ড

SHARE
Cricket World Cupদক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে নিউজিল্যান্ড।
ইডেন পার্কে প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড জয়ের জন্য ২৯৯ রানে পৌছে গেছে ৪ উইকেট আর ১ বল হাতে রেখে।
ম্যাচজেতানো অপরাজিত ৮৪ রান করে ম্যান অব দি ম্যাচ হয়েছে গ্রান্ট ইলিয়ট।
ম্যাককালাম ৫৯ এবং কেন উইলিয়ামসন ৬ রান করে মরনে মরকেলের শিকার হয়েছেন।
ইডেন পার্কের বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে এর আগে  প্রথমে ব্যাট করে ৪৩ ওভারে ৪ উইকেটে ২৮১ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রোটিয়া ইনিংসে ৩৮ ওভারের পর বৃষ্টিতে দুই ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনা হয়। ওই সময় ৩ উইকেটে ২১৬ রান করা দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ পাঁচ ওভারে তুলেছে ৬৫ রান।
যার ৪৯ রানই ১৮ বলের ঝড়ো ইনিংস খেলা ডেভিড মিলারের। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ রান ওয়ান ডাউনে নামা ফ্যাপ ডু প্লেসিসের।
বৃষ্টি-বিরতির পরপরই আউট হওয়ার আগে ১০৭ বলে খেলেছেন ৮২ রানের ইনিংস।
তবে শেষপর্যন্ত অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন অধিনায়ক অ্যাবি ডি ভিলিয়ার্স। ৩২ বলে ফিফটি করা ডি ভিলিয়ার্স অপরাজিত ছিলেন ৬৫ রানে।
এছাড়া প্রোটিয়াদের হয়ে ৩৯ রান করেন রিলি রুশো।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা প্রোটিয়ারা ট্রেন্ট বোল্টের জোড়া আঘাতে শুরুতেই চাপে পড়ে যায়।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বোল্টকে অফ ড্রাইভ খেলতে গিয়ে ইনসাইডেজ হয়ে বোল্ড হন হাশিম আমলা।
অস্টম ওভারে বোল্টকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে থার্ডম্যানে সউদিকে ক্যাচ দেন আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কক।
৩১ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতনের পর জুটি বাঁধেন ডু প্লেসিস-রুশো।
৮৩ রান এনে দেওয়া তৃতীয় উইকেট জুটিটি ভাঙেন কোরে অ্যান্ডারসন।
গাপটিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরা রিলি রুশোকে।
পরে ডু প্লেসিস আর মিলারের উইকেট মিলিয়ে ৩ উইকেট নেন এই বাঁ হাতি অলরাউন্ডার।
দুই দলেই একটি করে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ইনজুরিতে পড়া অ্যাডাম মিলনের জায়গায় নিউজিল্যান্ড দলে ভিড়িয়েছে ম্যাট হেনরিকে।
আর কাইল অ্যাবোটের জায়গায় দক্ষিণ আফ্রিকা দলে ফিরেছেন ভারনন ফিল্যান্ডার।