ঢাকার দুই সিটিতে মেয়র পদে ২২, কাউন্সিলরে ৯৬৭ জনের মনোনয়ন সংগ্রহ

SHARE

city22ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর ও দক্ষিণের নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ভিড় বাড়ছে রিটার্নিং অফিসে। সোমবার দিনভর এ ভিড় দেখা গেছে দুই সিটির রিটার্নিং অফিসগুলোয়। আগামী ২৯ মার্চ মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এ কারণে সম্ভাব্য প্রার্থীরাও ব্যস্ত রয়েছেন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমার কাজে। ঢাকা সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীদের সমর্থকরা বেশ সরব হয়ে উঠেছেন। কেউ-কেউ নির্বাচনী আচরণবিধিও লঙ্ঘন করছেন। নির্বাচন কমিশন আচরণবিধি লঙ্ঘনেরর দায়ে প্রার্থীদের দিচ্ছে কারণ দর্শানোর নোটিশ।

রিটার্নিং অফিস সূত্রে জান গেছে, সোমবার পর্যন্ত ঢাকার দুই সিটির মেয়র পদের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ২২ জন। এরমধ্যে শুধু সোমবারে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ৭ সম্ভাব্য প্রার্থী। অন্যদিকে কাউন্সিলর পদে ৯৬৭ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এরই মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩৩১জন ও দক্ষিণে ৬৩৬ জন কাউন্সিলর পদের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। উত্তরে সাধারণ কাউন্সিলর হিসেবে ২৬৯ জন ও সংরক্ষিত নারী পদে ১৬৪ জন রয়েছেন। দক্ষিণে সাধারণ কাউন্সিল হিসেবে ৫৩৪ ও সংরক্ষিতে নারী পদে ১০২ জন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।

সোমবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আনিসুল হক, এওয়াইএম কামরুল ইসলাম ও আতিকুর রহমান। দক্ষিণে মেয়র পদের জন্য মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন জাতীয় পার্টি-সমর্থিত সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, সাইদুর রহমান মানিক, শাহ আলম ও বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু। অন্য প্রার্থীরা নিজে উপস্থিত থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেও বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর পক্ষে আইনজীবী রফিকুল হক মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

উল্লেখ্য বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কেউ প্রার্থী হতে মনোনয়ন নিতে পারবেন কি না, এ প্রশ্নের জবাবে ঢাকা দক্ষিণের রিটার্নিং অফিসার মিহির সারওয়ার মোর্শেদ বলেন, যে-কেউ মনোনয়নপত্র তো নিতেই পারেন। তবে যাচাই-বাছাই করেই প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।

কারণ দর্শানোর নোটিস ও অভিযোগ :

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪ সম্ভাব্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে রিটার্নিং অফিস। তাদের মধ্যে ১০ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও চারজন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর। অভিযুক্তদের আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে উপযুক্ত কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে এক মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে অন্য প্রার্থী অভিযোগ করেছেন রিটার্নিং অফিসে। তবে ঢাকার সিটি করপোরেশন উত্তরের রিটার্নিং অফিস থেকে কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি।

ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণের রিটার্নিং অফিসার মিহির সারওয়ার মোর্শেদ বলেন, সম্ভাব্য ১৪ জন প্রার্থীকে অভিযোগের প্রমাণসহ কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাদের আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে তাদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। এছাড়াও চারজন প্রার্থী দোষ স্বীকার করে মাফ চেয়েছেন।

দক্ষিণে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে রিটার্নিং অফিসে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টি-সমর্থিত প্রার্থী সাইফুদ্দিন মিলনের সমর্থকরা। রবিবার দক্ষিণের আরেক সম্ভাব্য-প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে রিটার্নিং অফিসে অভিযোগ করেন সাঈদ খোকনের সমর্থকরা।