জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে প্রথম আলো কার্যালয় ঘেরাও করেছে ‘সিপি গ্যাং’ নামে একটি অনলাইনভিত্তিক সংগঠন। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। বুধবার বিকাল চারটায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ‘ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ’ উল্লেখ করায় বিকাল সাড়ে চারটার দিকে কারওয়ান বাজারের পেট্রোসেন্টার থেকে একটি মিছিল নিয়ে তারা প্রথম আলো কার্যালয়ের দিকে রওনা হন।
তাদের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আগে থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছিল।
পুলিশ বাধা দিলে প্রথম আলো কার্যালয়ের দক্ষিণ পাশের সড়কে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন তারা। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে অবস্থানের পর পাঁচটার দিকে পেট্রোসেন্টারে ফিরে গিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন তারা।
‘সিপি গ্যাং’ প্রথম আলোর নিবন্ধন বাতিল এবং প্রকাশনা বন্ধের দাবি জানিয়েছে। বিক্ষোভের সময় প্রথম আলোর কয়েকটি কপি পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানান তারা।
বিক্ষোভকালে সিপি গ্যাংয়ের সদস্যরা ‘প্রথম আলোর আস্তানা জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’, ‘প্রথম আলো বন্ধ করো, মতিকে আটক করো’, ‘ঘেরাও ঘেরাও ঘেরাও করো, প্রথম আলো ঘেরাও করো’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়। ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির কোনো ক্ষমা নেই, সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতা প্রথম আলোর বন্ধ চাই, বাংলাদেশের স্বার্থে প্রথম আলো বর্জন করুন, মতিউর রহমানের শাস্তি চাই’ এই ব্যানার নিয়ে তারা বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাদের হাতে ‘লাখো শহীদ দিচ্ছে ডাক, প্রথম আলো নিপাত যাক, ‘জ্বালো রে জ্বালো, প্রথম আলো জ্বালো, ‘প্রথম আলোর আস্তানা জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও, ‘প্রথম আলো বন্ধ করো, মতিকে আটক করো’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড ছিল।
সংগঠনের আহ্বায়ক রাসেল রহমান বলেন, “অবিলম্বে প্রথম আলোর লাইসেন্স বাতিল ও প্রকাশনা বন্ধ করতে হবে এবং এর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ প্রতিবেদনটি প্রকাশের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন, সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
এর আগে মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ‘টিএসসির সকল সাংস্কৃতিক সংগঠন’ ব্যানারে প্রথম আলোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে।
ওই সমাবেশে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক শোয়াইব আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি রিয়াজুল হক রাজু ও সাধারণ সম্পাদক নাবিল আল জাহান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সভাপতি মহসীন আলী, স্লোগান ’৭১ সভাপতি ভূঁইয়া মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ, ঢাবি সাইক্লিং ক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।