বসে থাকবেন না, জেগে উঠুন: বি. চৌধুরী

SHARE

bcw15সরকার হিটলার-মুসোলিনিকেও ছাড়িয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনি জনগণের উদ্দেশে বলেছেন, “বসে থাকবেন না। জেগে উঠুন।”

রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘চলমান পরিস্থিতি ও উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

জনগণের উদ্দেশে বি. চৌধুরী বলেন, “একাত্তর সালে পাকিস্তানের অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে পারলে এখন দেশের অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে জেগে উঠবেন না কেন? বসে থাকবেন না, জেগে উঠুন। আজ হোক কাল হোক জেগে উঠতেই হবে।”

বিকল্পধারার সভাপতি বলেন,  দেশের মানুষ ৫ জানুয়ারির নির্বাচন মেনে নেয়নি। তারা ভোট দিতে চায়। তাদের এ অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, “নিয়ম রক্ষার নির্বাচন করেছেন। এবার ওয়াদা অনুযায়ী সব দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।”

‘ক্রসফায়ার’ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, “এটা হত্যা। রাষ্ট্রীয় বাহিনী এভাবে মানুষ হত্যা করতে পারে না। এটা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। সরকার হিটলার-মুসোলিনিকেও ছাড়িয়ে গেছে।” হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “সরকার হাইকোর্টের কথাও রাখবে না। এটা কোন ধরনের সরকার!”

সভাপতির ভাষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যদ অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বর্তমান সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “সমাধান না হলে মারামারি হবে, দেশের অস্তিত্ব বিনষ্ট হবে।” তিনি বাংলাদেশের মানুষের প্রকৃতির কথা উল্লেখ করে সরকারকে সতর্ক করেন, “এখানকার মানুষ কিছুদিন অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে। কিন্তু সীমা অতিক্রম করলে জনগণ যা করে তা অত্যন্ত ভয়ংকর, অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত।”

বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটি আয়োজিত সভায় আরো বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের টাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সম্মিলিতি পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশের) সভাপতি শওকত মাহমুদ প্রমুখ।