তরুণলীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩

SHARE

meherpurআধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোববার দুপুর একটার দিকে মেহেরপুর কলেজ মোড়ে তরুণলীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে তিনজন।

আহতদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ছয় রাউন্ড ফাঁকাগুলি বর্ষণ করে।

পুলিশ জানায়, দুপুর ১২ টার দিকে একটি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সঙ্গে মেহেরপুর ট্যাকনিকেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকদের বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় কলেজের জানালা ও আসবাপত্র ভাঙচুর করা হয়। পরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন ও শহর ছাত্রলীগের সভাপতি মাহফিজুর রহমান পলেন কলেজে গিয়ে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করে। এ সময় তরুন লীগের দুই কর্মীর সঙ্গে ছাত্র লীগের বাক বিতণ্ডা শুরু হয়। দুপুর একটার দিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা মেহেরপুর কলেজ মোড়ে তরুণ লীগের অফিসে হামলা চালায়। পরে দুপুর দুইটার দিকে তরুণলীগ নেতাকর্মীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠি সোঠা নিয়ে ছাত্রলীগের উপর পাল্টা হামলা চালায়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলাকালে কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ পাওয়া যায়। তরুণ লীগের ধারালো অস্ত্রাঘাতে আহত হন শহর ছাত্রলীগের সভাপতি মাহফিজুর রহমান পলেন (৩০)। একই সময়ে গুলিবিদ্ধ হন ছাত্রলীগ কর্মী মাসুদ রানা (২৮) ও অটোবাইক চালক জুয়েল (২২)।

সংবাদ পেয়ে মেহেরপুর পুলিশের কয়েকটি টীম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ছয় রাউণ্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে ও আহতদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পঠায়।

গুলি বর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার শেখ জানান, পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি।

জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক অলোক কুমার জানান, আহতদের মধ্যে মাহফিজুর রহমান পলেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।