ওয়েস্ট ইন্ডিজের মূল কাজটা ছিল ম্যাচটা জেতা। অপেক্ষাকৃত র্দুবল আরব আমিরাতকে হারিয়ে নিজেদের কাজটা বেশ ভালোভাবেই সম্পন্ন করেছে তারা। কোয়ার্টার ফাইনালের ভাগ্য নির্ধারনের জন্য এখন ক্যারিবিয়ানদের অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও কয়েক ঘন্টা। অ্যাডিলেডে পাকিস্তান-আয়ারল্যান্ডের ম্যাচের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকবে উইন্ডিজরা। ওই ম্যাচের পরাজিত দলের সঙ্গে রান রেটের লড়াইয়ে শামিল হবে তারা।
৬ ম্যাচের তিনটি জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান রেট এখন মাইনাস ০.০৫৩ (-.০৫৩)। পাকিস্তান (-০.১৯৪) ও আয়ারল্যান্ড (-১.০১৪) দুদলের রান রেটই এখন ক্যারিবিয়ানদের চেয়ে কম। তাই অনুমান করা যায়, অ্যাডিলেডে যে দল হারবে তাদের রান রেট আরও কমবে। সেক্ষেত্রে বলা যায়, পাকিস্তান-আয়ারল্যান্ড ম্যাচের পরাজিত দলই বাদ পড়তে যাচ্ছে! আমিরাতকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে উইন্ডিজরা তাদের রান রেট এগিয়ে এনেছে। শেষ আটে যাওয়ার বড় দাবিদারও তারা এখন।
১৭৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৩৩ রানে ডোয়াইন স্মিথের (১৫) উইকেট হারায় ক্রিস গেইলহীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সুবিধা করতে পারেননি স্যামুয়েলসও। তৃতীয় উইকেটে চার্লস-কার্টার ৫৬ রানের জুটি গড়েন। চার্লস ৪০ বলে ৫৫ রান (৯ চার, ২ ছয়) করে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন। চালর্সের পর আন্দ্রে রাসেলও দ্রুত ফিরে যান। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৫৮ রান যোগ করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন কার্টার ও রামদিন। প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করা কার্টার ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন। রামদিন ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। আমিরাতের পক্ষে গুরুগে ও আমজাদ জাভেদ ২টি করে উইকেট নেন।
এর টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে জেরমি টেলর ও জেসন হোল্ডারের বোলিং তোপে ৪৬ রানে ৬ উইকেট খুঁইয়ে বসে আরব আমিরাত। সপ্তম উইকেটে দলকে বিপর্যয় থেকে বাঁচান আমজাদ জাভেদ ও নাসির আজিজ। তারা ১০৭ রানের জুটি গড়েন। আমজাদ জাভেদকে বোল্ড করে ব্রেক থ্রু এনে দেন আন্দ্রে রাসেল। আমজাদ জাভেদ ৫৬ রান করেন। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬০ রান করে স্যামুয়েলসের শিকার হন নাসির আজিজ। মোহাম্মদ নাভেদ ১৪ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হোল্ডার ৪টি, জেরমি টেলর ৩টি ও আন্দ্রে রাসেল ২টি করে উইকেট নেন।